• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন বিশ্বকাপ মাতানো রিশাদ

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৪  

জাতীয় দলের লেগ স্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেনের ক্যারিয়ারে দারুণ সময় যাচ্ছে। মাত্র ছয় মাসে পুরোটা বদলে দিয়েছেন তার ক্যারিয়ারের মানচিত্র। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে নিজেকে অন্যভাবে চেনাচ্ছেন রিশাদ। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলেছেন। বিশ্বকাপের পর বিরতি পাওয়া ২১ বছর বয়সী লেগ স্পিনার দিলেন আরেক সুসংবাদ। বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন রিশাদ। অবশ্য তিনদিন পর ২২ বছরে পা দিবেন তিনি। রিশাদ হোসেনের জন্ম ২০০২ সালের ১৫ জুলাই।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে নীলফামারীর টুপামারীর নিজপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করেন।

ক্রিকেটার রিশাদ নীলফামারী সদরের টুপামারী নিজপাড়া এলাকার নূর আলমের একমাত্র ছেলে। নববধূ ইটাখোলা ইউনিয়নের কান্দুরা মোড় এলাকার ইলিয়াস প্রামানিক জুয়েলের তৃতীয় কন্যা সিদরাতুল মুনতাহা মুক্তা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে রিশাদ তার গ্রামের নিজ বাড়িতে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী এলাকার সিদরাতুল মুনতাহা মুক্তার সঙ্গে বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করেন। বিবাহ অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের অভিভাবক আর আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

বিয়ের খবর নিশ্চিত করেছেন রিশাদ নিজেই। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন এই নতুন অধ্যায়ের সূচনার কথা। এরপর পোস্টে নিজের একটি ছবি জুড়ে দিয়ে ক্যাপশনে এই তারকা লেখেন, ‘বিয়ে করলাম। গাঁটছাড়া বাধার সংবাদটি সবাইকে জানাতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। ভালোবাসা, আনন্দ এবং অফুরন্ত আশীর্বাদে আমাদের ভবিষ্যৎ পূর্ণ হোক।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে গাঁটছাড়া বেধেছেন রিশাদ। শ্বশুর বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নে। তবে ব্যক্তিগতভাবে ইসলামী বিধান পালন করায় এখনই স্ত্রীর ছবি কিংবা কোনো তথ্য সামনে আনেননি তিনি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি লেগস্পিনার রিশাদ তার অভিষেক বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য সব মহলে বেশ প্রশংসিত। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ যে একজন রিস্ট স্পিনারের জন্য এত অপেক্ষা করেছে, সেটিও কিছুটা হলেও ঘুচেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে সবমিলিয়ে ৭ ম্যাচে ২৫ ওভার বোলিং করেছেন রিশাদ। যেখানে ২১ বছর বয়সী এই স্পিন অলরাউন্ডার ৭.৭৬ ইকোনমি রেটে ১৪ উইকেট শিকার করেছেন। যা কোনো বাংলাদেশি বোলার হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের কীর্তি।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –