ক্রীড়াঙ্গনে তরুণ-যুবদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তরুণ-যুবদের অদম্য শক্তি, সাহস এবং সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশ্বদরবারে সাফল্য অর্জনে দেশের ক্রীড়াবিদ, সংগঠকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম মিরপুরে ১৭তম অল এশিয়া উন্মুক্ত ফুলকন্টাক্ট কারাতে প্রতিযোগিতা ২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে তরুণ-যুবদের অদম্য শক্তি, সাহস এবং সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।

খেলাধুলার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন একটি সুসমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারের পাশাপাশি সব ক্রীড়ানুরাগীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

রাষ্ট্র প্রধান বলেন, বর্তমান বিশ্বে সমাজ উন্নয়ন, জাতি-গঠন ও বিশ্ব সভ্যতার বিকাশে ক্রীড়া-চর্চা একটি অপরিহার্য উপাদান। বিশ্বায়নের এ যুগে শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প, অর্থনীতির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনেও আমাদেরকে বিকশিত হতে হবে। ক্রীড়াঙ্গনে স্থাপন করতে হবে সাফল্যের নতুন নজির, উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমাদের মেয়েরা, যুব ফুটবলাররা ক্রীড়ানৈপূণ্য দেখিয়ে এরইমধ্যে দেশের জন্য বিরল সাফল্য বয়ে এনেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কারাতে এমন একটা খেলা, যা প্রতিযোগীকে নিয়মানুবর্তিতা, ধৈর্য্য, সহনশীলতা এবং প্রতিপক্ষকে সম্মান করার শিক্ষা দেয়। আমাদের এ গতিময় জীবনে ধৈর্য্য ও সহনশীলতার চর্চা খুবই প্রয়োজন। কারণ সহিষ্ণুতার অভাবে সারাবিশ্ব অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে ও মানবিক মূল্যবোধও ধ্বংস হচ্ছে। এ থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্বকে শান্তির আবাস হিসেবে গড়ে তুলতে খিউকুশীন কারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি খিউকুশীন কারাতের সদস্যদের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে বলেন, খিউকুশীন কারাতের প্রায় ১২ মিলিয়ন সদস্য “Keep your head low (modesty), eyes high (ambition), mouth shut (serenity); base yourself on filial piety and benefit others” এ চেতনাকে ধারণ করে সারাবিশ্বে নিজ নিজ সমাজে অবদান রাখার পাশাপাশি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি তার ভাষণের শুরুতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দেননি, একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনর্গঠিত করার পাশাপাশি দেশে খেলাধুলার উন্নয়নেও তিনি বিপুল অবদান রেখে গেছেন।

ইন্টারন্যাশনাল কারাতে অরগানাইজেশন (আই কে ও) খিউকুশীন ও বাংলাদেশ আইকেও আয়োজিত সংগঠনটির বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন সিকদার, আইকেও’র ইন্টারন্যাশনাল ডাইরেক্টর .খাৎসুহিতো গোরাই ও বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ ভূইয়া এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা।

রাষ্ট্রপতি পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।