• মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৬ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের শেষ সময় কখন

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২৪  

সালাত বা নামাজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে দ্বিতীয়। এটি অন্যতম ফরজ ইবাদত। পবিত্র কুরআনে ৮২ বার নামাজের কথা এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে তখন দাঁড়ানো, বসা ও শোয়া অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ। (সুরা নিসা, আয়াত: ১০৩)

এ ক্ষেত্রে তাহাজ্জুদ নামাজ অন্যতম নফল ইবাদত। এর ফজিলত ও সওয়াবও অনেক। আবূ হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহামহিম আল্লাহ তা’য়ালা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেন- কে আছে এমন যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেবো। কে আছ এমন যে আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে তা দেবো। কে আছ এমন আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করবো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১০৭৯)

তবে কেউ যদি তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতে চায় সে ক্ষেত্রে তাকে এশার ফরজ ও সুন্নত আদায়ের পর বিতরের নামাজ বাকি রাখতে হবে। পরবর্তীতে তাহাজ্জুদ আদায়ের পর বিতরের নামাজ পড়তে হয়। তবে প্রশ্ন হলো তাহাজ্জুদ নামাজের শেষ সময় কখন?

মনে রাখতে হবে, মধ্যরাতের পরে বা রাতের দুই-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলে তাহাজ্জুদ নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়। আর তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত। হাদিসে এসেছে, ইবনু ওমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, সুবহে সাদিকের সঙ্গে সঙ্গে রাতের সালাত ও বিতরের ওয়াক্ত চলে যায়। সুতরাং তোমরা সুবহে সাদিকের পূর্বেই বিতর আদায় করে নেবে। (তিরমিজী, হাদিস: ৪৬৯)

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –