সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর ইন্তেকাল

সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোর সাড়ে ৫ টায় তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক ভক্ত-শুভাকাঙ্খী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের সাবেক এমপি ছিলেন।

জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজার পর মরদেহ তাঁর নিজ এলাকা সরিষাবাড়ী উপজেলার পাখিমারা গ্রামে নেয়া হবে।

সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন।

দলীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, মাওলানা নুরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে প্রথম গঠিত উপজেলা পরিষদে সরিষাবাড়ী থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদানের পর ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব ও এলজিআরডি মন্ত্রী আব্দুস সালাম তালকুদারের বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এমপি নির্বাচিত হন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন প্রথম আওয়ামী লীগ সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন।

মাওলানা নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন- বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি, জামালপুর-৪ আসনের এমপি মামুনুর রশিদ জোয়ার্দার, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী।

এছাড়াও সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ, সাবেক এমপি ডা. মুরাদ হাসান, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুর কবীর তালুকদার শামীম, জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান বস্তুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।