• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিজ মেধা-যোগ্যতায় গ্রাম পুলিশে চাকরি পেলেন ৭ তরুণ-তরুণী

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৪  

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৪ ইউনিয়নের ৭টি ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশ শূন্য পদে নিজ যোগ্যতা, মেধায় ও বিনা পয়সায় চাকরি পেলেন ৭ তরুণ-তরুণী। গ্রাম পুলিশের চাকরি যারা পেয়েছেন তাদের কোনো প্রকার খরচ কিংবা তদবির ছাড়াই নিজেদের মেধা ও যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং তারা সবাই নিম্নআয়ের পরিবার থেকে উঠে আসা। 

সোমবার রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার) নিয়োগ সংক্রান্ত বাছাই কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বি আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পরীক্ষার সব প্রক্রিয়া শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তীর্ণদের নাম ঘোষণা করেন। 

এতে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে নিয়োগ পেয়েছেন একই ইউনিয়নের চতুরাগছ এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সয়ন,পাগলীডাঙ্গী এলাকার তফিল হোসেনের ছেলে হাবিবুল্লাহ। তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড নিয়োগ পেয়েছেন সিদ্দিক নগর এলাকার ফরমান আলীর স্ত্রী রানী পারভীন৷ বুড়াবুড়হ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে নিয়োগ পেয়েছেন চৌধুরীপাড়া এলাকার আমিরুল ইসলামের ছেলে সাহালম হোসেন, ৫নং ওয়ার্ডে নিয়োগ পেয়েছে চরকডাঙ্গী এলাকার সেরাজুল ইসলামের ছেলে তসলিম উদ্দিন এবং ভজনপুর ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ড নিয়োগ পেয়েছেন একই ইউনিয়নের কাউরগছ এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মো. আসাদুজ্জামান মঞ্জু। 

এদিকে সোমবার সকালে ৪ ইউনিয়ন থেকে আসা গ্রাম পুলিশ পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের প্রাথমিক মেডিকেল, লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তীর্ণদের নাম ঘোষণা করে নিয়োগ কমিটি। এ সময় নিজ যোগ্যতা ও মেধায় চাকরির ফলাফল পাওয়া মাত্রই সাত তরুণ-তরুণী আনন্দিত হন। তবে উপজেলায় গ্রাম পুলিশ পদে এবারের মতো স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষা ও প্রক্রিয়া আগে কখনও হয়নি বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাধারণ মানুষসহ স্থানীয় সচেতন মহল।

এ বিষয়ে কথা হয় তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়ন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত রানী পারভীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি গরিব ঘরের সন্তান। আমাদের ইউনিয়নে একজন গ্রাম পুলিশ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে এমন খবর পেয়ে আবেদন করি। পরে আবেদনের পর যাচাই-বাছাই শেষে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে রাতে ফলাফল পাই। এতে আমি নিয়োগ পেয়েছি। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই নিয়োগ কমিটির প্রতি। আমার কোনো টাকা-পয়সা খরচ হয়নি। আমাদের মেধাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে ও এতে আমরা অনেক আনন্দিত। 

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মন্ডল বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছি। বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা দেখেছি কিন্তু গ্রাম পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার মতো এত স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া আমার জীবনেও দেখিনি। তবে যারা নিজেদের মেধায় চাকরি পেলেন তারা সবাই গরিব ঘরের সন্তান। তারা তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে এই প্রত্যাশা করি। 

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার) নিয়োগ সংক্রান্ত বাছাই কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বি জানান, গ্রাম পুলিশ পদে যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা সবাই নিজ নিজ যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন। তারা প্রথমে শারীরিক, পরে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আমরা একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। যারা শুরু থেকে এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থেকে সহযোগিতা করেছেন তাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। আর যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের জন্য শুভ কামনা রইল। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –