• বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কখন খাবেন রাতের খাবার?

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৮  

কখন খাবেন রাতের খাবার?

ছবি: সংগৃহীত

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়ার বিকল্প নেই। রাতের খাবার এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার মাঝে কতটুকু তফাৎ রাখা উচিত তা অনেকেরই অজানা। কিন্তু মাঝের সময়টা কেনো রাখা হয় তা জানা জরুরি। কখনো ভেবে দেখেছেন? জেনে নিন পুষ্টিবিদদের মতামত।

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কি করেন? হয়তো বই পড়া, ম্যাগাজিন, টিভি, পত্রিকা, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্প গুজব অথবা মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। রাতে শরীরের অ্যাক্টিভিটি লেভেল একেবারেই কম থাকে। আবার সঙ্গে মেটাবলিজম রেট ও হজম শক্তি কমে যায়। বর্তমানে অনেকেই রাত ১১টা বা ১২টার আগে রাতের খাবার খাওয়ার কথা চিন্তা করতে পারে না। মূলত বিকেলে ভারি নাস্তা যেমন- চানাচুর, চিপস, তেলেভাঁজা, সমুচা, সিঙ্গাড়া, পুরি, চিকেনের তৈরি নাস্তা, মিষ্টান্ন ইত্যাদি খাবার খাওয়ার পর রাতে খাবারের ক্ষিদে অনেকটাই কমে আসে। এজন্য রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয় অনেকের। এতে মনে হতে পারে সমস্যা কি? হয়, সমস্যা হয় পাকস্থলির। ওভারলোডিং এর ফলে পাকস্থলি খাবার হজম করতে পারে না। তাই প্রত্যেকের উচিত ৮ টার মধ্যে রাতের খাবারের পাঠ চুকানো।

 

1.কখন খাবেন রাতের খাবার?

হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্যালোরি বার্ন হয়। রাতে শরীরের কোষগুলো এনার্জি বা নিউট্রিয়েন্ট শোষণ করতে অনেক সময় নেয়। কারণ এই সময় এনার্জি খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। তাই বিকেলের নাস্তা আবার দেরি করে রাতের খাবার খেলে পাকস্থলির ওপর বেশি চাপ পড়ে। ঘুমের আগে সব খাবার তো হজম হয় না উল্টো ফ্যাট হিসাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা হয়। যতই পুষ্টিকর অথবা হেলদি খাবার খান না কেনো! এতে অতি দ্রুত মুটিয়ে যান। আর সবচেয়ে বাজে অভ্যাস হলো প্রচুর খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়া। খালি পেটে যেমন ঘুম আসে না ঠিক তেমনি বেশি খেলেও ঘুম ভালো হয় না।

 

2.কখন খাবেন রাতের খাবার?

ক্যালোরি বার্নের জন্য খুব ভাল ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের মধ্যে বডি সেল রিপেয়ার্ড হয়। এতে হরমোনাল ব্যালান্স ভালো হয়, সেল রিজুভিনেশন হয় পরের দিনের জন্য শরীর তৈরি হয়। ঘুম ভালো না হলে হরমোন বা লিন টিস্যু ফ্যাট বার্নিং প্রসেসকে সাপোর্ট করতে পারে না। ঘুমানোর সময় শরীরের একমাত্র কাজ ‘রিপেয়ার এন্ড রিজুভিনেট’। যদি বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে শরীর দোটানায় পড়ে যায়, অস্বস্তি বোধ হয়। হজম হতে অনেক দেরি হয়। ফলে সেল রিপেয়ার করবে না-কি হজম করবে সেটা বুঝতে পারে না। যার ফলে পেট ফুলে যাওয়া, এসিডিটি, ঢেঁকুর ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। ঘুমানোর অন্তত দু'ঘণ্টা আগে খাওয়া শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো। এতে শরীর সুস্থ থাকে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। যদি নিয়মিত ৮টার মধ্যে খাবার খেয়ে নেন (ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে) আর নিয়ম করে খাদ্যাভাস চালু রাখেন তবে আপনি হবেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। ১০ থেকে ১১ টার মধ্যে নিয়মিত ঘুমাতে যাওয়ার নিয়ম করলে সকালেও তাড়াতাড়ি উঠতে পারবেন। শরীর, মন-মেজাজ সুস্থ থাকবে। অন্যদিকে, বেশি রাত করে খেলে শরীরে টক্সিন জমতে শুরু করে যার প্রভাব কতটা ক্ষতিকর নিশ্চয়ই জানেন। পেট ফোলা, কনস্টিপেশন, বডি ফ্যাট বেড়ে যাওয়া, স্ট্রেচ মার্ক সবই এই টক্সিনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া। সুতরাং খাওয়া দাওয়ার রুটিনে পরিবর্তন আনুন। রাতের খাবারে হালকা কিছু যেমন- সালাদ, গ্রিলড ফিশ, শাক, ডাল রুটি, সবজি এর মত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন। মাংস ও চর্বি জাতীয় খাদ্য পরিহার করুন। দেখবেন শরীর সুস্থ থাকবে পাশাপাশি থাকবেন ফিট।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –