• শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১১ ১৪৩১

  • || ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি করি না, ভবিষ্যতেও করবো না: ঢাবির নতুন ভিসি

প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৪  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই তাকে ‘রাজনীতিবিমুখ’ শিক্ষক হিসেবে চেনেন। তিনি নিজেও কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য বা সমর্থক পরিচয় দেওয়ার চেয়ে শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বলে উল্লেখ করেছেন।  

উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায়ও রাজনীতির বাইরে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। একই সঙ্গে দল-মত নির্বিশেষ সবার সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি স্বতন্ত্র অবস্থানে ফেরাতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘আমি বরাবরই রাজনীতির বাইরের মানুষ। আমি শিক্ষক, গবেষণায় ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করি। এখনো আমি কোনো রাজনীতি করি না। আগামীতেও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমার নাম জড়ানোর ইচ্ছা নেই।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্যাম্পাসে ‌‘রাজনীতিবিমুখ’ শিক্ষক হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। তাকে কোনো দলের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে দেখা যায়নি। সবসময় অ্যাকাডেমিক বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়ায় তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে থেকেছেন।

উপাচার্য নিয়োগ পাওয়ার গুঞ্জনের মধ্যেই গতকাল সোমবার তার ৩৫ পৃষ্ঠার জীবনবৃত্তান্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে দেশে ও দেশের বাইরের ১৭ জন পিএইচডি গবেষক ও ৮ জন এমফিল গবেষক গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি দুই শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও বইয়ের রচয়িতা।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ড. শফিক আহমদ খান অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ষাটের দশকের প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণ রসায়ন বিভাগ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।

পেশাগত জীবনে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ‘অধ্যাপক’ ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অধ্যয়ন বিভাগে। ২০১২-২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এ বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি একই বিভাগে অধ্যাপনা করছেন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –