• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। এছাড়া আগামী বছর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে।এই হিসাবে কোনো তথ্য গোপন করলে বা ভুল তথ্য থাকলে সেটা ১৯৭৯ সালের বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

রোববার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর আলোকে সর্বশেষ সরকারের আদেশ আজ জারি হচ্ছে। প্রতিবছর সম্পদের বিবরণী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে।

 

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ১ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ-বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

সম্পদ বিবরণী দাখিলের ক্ষেত্রে যেসব নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে:

সম্পদ বিবরণী প্রদানের সময়সীমা: সব সরকারি কর্মচারীকে প্রতি অর্থবছরের সম্পদ বিবরণী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হবে। কেবল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ক্ষেত্রে সম্পদ বিবরণী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হবে।যে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে

ক্যাডার/নন-ক্যাডার (নবম বা তদূধী গ্রেড) কর্মকর্তা তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনিক। মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবের কাছে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করবেন। গেজেটেড/নন-গেজেটেড কর্মকর্তা/কর্মচাররা (১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড) নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের সম্পদ-বিবরণী দাখিল করবেন।জমা প্রদান প্রক্রিয়া:

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত নির্ধারিত ছকে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে হবে। ছকটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দফতর/সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

সম্পদ-বিবরণীটি সিলগালাকৃত খামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে হবে।

শাস্তিমূলক ব্যবস্থা:

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা কোনো ভুল তথ্য প্রদান কিংবা তথ্য গোপন করা হলে বা সম্পদের কোনোরূপ অসংগতি পরিলক্ষিত হলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রযোজ্যতা:

এই অনুশাসনমালা সব সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

গোপনীয়তা সংরক্ষণ:

বিজ্ঞ আদালতের আদেশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত সম্পদ-বিবরণীর তথ্য সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ হস্তান্তরযোগ্য নয়। সম্পদ-বিবরণী অতি গোপনীয় দলিল বিধায় এ ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ প্রযোজ্য হবে না।

পরিবর্তন ও পরিমার্জন:

প্রয়োজনের নিরিখে এই নিয়মাবলি সরকার সময়ে সময়ে পরিবর্তন ও পরিমার্জনের এখতিয়ার সংরক্ষণ করে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –