• শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৯ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউস সানি ১৪৪৬

‘কৃষক-প্রবাসী নয়, কালোটাকার মালিক অভিজাতরা’

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৪  

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সরকারদলীয় এমপি জাহিদ মালেক বলেছেন, কালোটাকার মালিক হচ্ছে অভিজাতরা (হোয়াইটকলার)। কোটি কোটি কৃষক কালোটাকার মালিক না, যারা শিল্পকলকারখানা তৈরি করে, তারা কালোটাকা তৈরি করে না। প্রবাসীরা কালোটাকার মালিক না, অভিজাতরাই কালোটাকা তৈরি করে।

জাতীয় সংসদে গতকাল শনিবার প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সরকারদলীয় এই এমপি।

জাহিদ মালেক বলেন, কালোটাকার ওপর অনেক কথা বলা হচ্ছে। আমরা এটা চাই না। আমাদের যে টাকা বিদেশে চলে গেছে, তা যদি আনা যেত, তাহলে দেশের অর্থনীতি ভালো হতো। অর্থনীতি কিছুটা হলেও চাঙা হতো। 

তিনি আরো বলেন, কালোটাকা কমাতে হলে দুর্নীতি কমাতে হবে, ট্যাক্স কমাতে হবে। তবেই কালোটাকা জন্ম নেবে না। কালোটাকা জন্ম না নিলে টাকা পাচারও হবে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের স্বতন্ত্র এমপি মঈন উদ্দিন বলেন, কতিপয় দুর্নীতিবাজ আমলা, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশের হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। কানাডার বেগমপাড়ায়, আবুধাবি, মালয়েশিয়াতে হাজার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

টাকা পাচারকারীদের দুষ্কৃতকারী উল্লেখ করে মঈন উদ্দিন বলেন, এ দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার এখনই সময়। প্রধানমন্ত্রী এটা করবেন বলে আশা করি। 

যশোর-৬ আসনের স্বতন্ত্র এমপি আজিজুল ইসলাম বলেন, সরকার যদি টাকা পাচার, হুন্ডি ও বেটিং সাইট বন্ধ করে দিতে পারে। তাহলে ছয় মাস নয়, তিন মাসের মধ্যে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। দেশে নামে-বেনামে অনেক বেটিং সাইট আছে, নিম্ন আয়ের মানুষেরাও তাদের অর্থ খোয়াচ্ছে। দেশের হাজার কোটি টাকা অবৈধভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে। মুখ থুবড়ে পড়ছে অর্থনীতি। এতে নষ্ট হচ্ছে মানুষের সুখের সংসার, যার পেছনে আছে জুয়া। সবকিছু আমাদের চোখের সামনে হচ্ছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –