• শনিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ১০ ১৪৩১

  • || ২১ রবিউস সানি ১৪৪৬

উন্নয়নের সুফল পেতে একাত্মতা জরুরি: এলজিআরডিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২ জুন ২০২৪  

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং সমন্বয় না থাকলে কর্মক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়, যা কখনো দেশের উন্নয়নের জন্য সুফল বয়ে আনবে না। উন্নয়নের সুফল পেতে জনপ্রতিনিধি এবং আমলাদের একাত্মতা জরুরি।

শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের জেলা রিসোর্স টিম (ডিআরটি)-এর প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গ টেনে এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দারিদ্র‍্যের হার একসময় ২৫ শতাংশ ছিল। এখন সেটা ১৮ শতাংশ, অতি দরিদ্রের হার এখন ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এই অর্জন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কাজ করতে গেলে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকলে, কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকলে অগ্রগতি থামিয়ে রাখা যায় না।

স্থানীয় সরকারের সত্তাগুলোকে শক্তিশালী করার জোর দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আজ যে দক্ষিণ কোরিয়াকে আমরা দেখি, এটি আগে এমন ছিল না। এদের অতীতে তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল। তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল ভঙ্গুর। শুধু তাই নয়, মানবিক প্রয়োজনীয়তার সব উপাদান ছিল অনুপস্থিত। কিন্তু পার্ক চুং হি ক্ষমতায় এসে জনগণের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। সাহসিকতার সঙ্গে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে দেশের সব মানুষকে একটি বিনিসুতায় বাঁধেন। স্থানীয় সরকারের সত্তাগুলোকে শক্তিশালী করেন। আজ দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। আমাদেরও তাদের থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এনপিডির অতিরিক্ত সচিব মোহা. শের আলী, ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দয়ারাত্নে, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায় প্রমুখ।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –