• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জানা গেল ১০ রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ডেকে পাঠানোর কারণ

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিয়োগপ্রাপ্ত ১০ রাষ্ট্রদূতের মেয়াদ শেষে হওয়ায় ঢাকায় ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রেগুলার ট্রান্সফার রুটিনের অংশ হিসেবে তাদের ডাকা হয়েছে।

রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে রয়েছেন- পেশাদার কূটনীতিক মো. মনিরুল ইসলাম (ইতালি) এবং আসুদ আহমেদ (গ্রিস)। তাদের দুইজনেরই পিআরএল শুরু হবে এপ্রিলে। এছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে খলিলুর রহমান (কানাডা) ও মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার (জার্মানি) মেয়াদ শেষ হবে এপ্রিলে। মোহাম্মাদ সুফিয়ুর রহমান (সুইজারল্যান্ড) ও মেজর জেনারেল আশিকুজ্জামানের (কুয়েত) মেয়াদ শেষ হবে মে মাসে। সুলতানা লায়লা হোসেন (পোল্যান্ড) ও মোহাম্মাদ আব্দুল হাইয়ের (থাইল্যান্ড) মেয়াদ শেষ হবে জুনে। জুলাই মাসে শাহাবুদ্দিন আহমদ (জাপান) ও সেপ্টেম্বরে মো. ফজলুল বারীর (ইরাক) মেয়াদ শেষ হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঐ কর্মকর্তা আরো বলেন, রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে কারো চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, কেউ অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাবেন। চাকরি শেষ করে তারা অবসরে যাবেন।

কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। তারও চুক্তির মেয়াদ শেষ। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় রুটিন অনুসারে তারা ঢাকায় আসবেন। এসে তারা অবসরে চলে যাবেন।

তিনি আরো বলেন, অনেকেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকেন। এ ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের একটা সময় থাকে। এক বছর কিংবা দু’বছরের জন্য তাদের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। তেমনই খলিলুর রহমানেরও চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাকে ঢাকায় আসতে বলা হয়েছে।

এদিকে কূটনীতিকদের সরকারি চাকরি শেষ হওয়ার পরে মেয়াদ বৃদ্ধির একটি প্রথা চালু রয়েছে। কারো কারো ক্ষেত্রে তিন থেকে চার বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর ফলে মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রদূত হওয়ার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে।

একজন পেশাদার কূটনীতিক যদি ৫৯ বছরের পরও রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করতে থাকেন, তখন মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের সুযোগ কমে আসে। আমরা বিষয়টি এরই মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবকে জানিয়েছি। তারাও বিষয়টি বোঝেন।

বিশ্বের ৬০টি দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে। এসব দূতাবাসে পররাষ্ট্র ক্যাডার বা বাইরে থেকে নিয়োগ দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি। মোট রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ পররাষ্ট্র ক্যাডার এবং সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান রয়েছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –