• মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১ ১৪৩১

  • || ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

হঠাৎই বোদা সীমান্তে জড়ো হন কিছু অচেনা মানুষ, অতঃপর...

প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২৪  

পঞ্চগড়ের বোদা সীমান্তে হঠাৎই কিছু অচেনা মানুষ জড়ো হন। এরপর তারা ভারতে যাওয়ার সুযোগ দিতে বিএসএফকে অনুরোধ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম।

গত বুধবার দুপুরে বোদা উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী কাজলদীঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের লাহিড়ীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে জড়ো হওয়া লোকজনকে সন্ধ্যায় বাড়িতে পাঠান জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ওই লোকগুলো ভারতে যেতে সেখানে জড়ো হন। তবে কারও সঙ্গে কোনো জিনিসপত্র বা ব্যাগ ছিল না। তাদের কেউ স্থানীয় বাসিন্দাও নন। সবাই অন্য এলাকা থেকে সেখানে আসেন। সীমান্তের ৭৭২ নম্বর পিলার এলাকায় জড়ো হওয়ার পর বিজিবির সহায়তায় তাদের ফেরত পাঠানো হয়।

জানা গেছে, লাহিড়ীপাড়া গ্রামের অপর প্রান্তে ভারতের ধরধরা পাড়া গ্রাম। দুই দেশের সীমান্তে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোনো কাঁটাতারের বেড়া নেই। গত শনিবার দুপুর থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত সীমান্তঘেঁষা লাহিড়ীপাড়া, চিরাকুটি, কালীতলা-বনগ্রাম, ধামেরহাটসহ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছে বিজিবি ও বিএসএফ।

এলাকাবাসী জানান, গত বুধবার হঠাৎ করে কিছু ব্যক্তি সেখানে জড়ো হন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা ফিরে যান। এরপর আর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়নি।

বিজিবির স্থানীয় বিওপির একজন সদস্য জানান, ওই দিন (বুধবার) ভারতে যাওয়ার কথা বলা ব্যক্তি ছিলেন সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ জন। বাকি লোক এসেছিলেন তাদের দেখতে। যারা জড়ো হয়েছিলেন, তাদের ভারতে যাওয়ার মতো কারোরই কোনো প্রস্তুতি দেখা যায়নি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মোমিন বলেন, আমার ইউনিয়নে হিন্দুধর্মের দুজন মানুষের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। দুজনই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা। তবে তারা ভারতে যেতে চাননি। ওই দিন সীমান্তে যারা জড়ো হয়েছিলেন, তারা সবাই আমার ইউনিয়নের বাইরের।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –