বিয়ের দাবিতে পাঁচদিন ধরে কলেজছাত্রীর অনশন

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে পাঁচদিন ধরে অনশনে বসেছেন এক কলেজছাত্রী। খবর পেয়ে প্রেমিক আলমগীর হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা সানিয়াজান ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঠ্যাংঝাড়া গ্রামে। প্রেমিক আলমগীর হোসেন (২২) ওই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।

ঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ওই কলেজছাত্রী বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরে মীমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হলে আমি হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে হাতীবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা সময় দেখা হয় একই কলেজের আলমগীরে সঙ্গে। এরপর শুরু হয় প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে রংপুর পার্কের মোড় এলাকায় পড়াশোনা সুবাদে দুজনে থাকতে শুরু করেন। প্রেমিক আলমগীর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে রংপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কয়েক দিন ধরে প্রেমিক আলমগীরের মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় কলেজছাত্রী তার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। এক পর্যায়ে আলমগীরের স্বজনরা কলেজছাত্রীকে মারধর করে মোবাইল কেড়ে নিয়ে দুজনের বিশেষ ছবি-ভিডিও ডিলিট করে দেন। এরপর থেকে আলমগীর হোসেন পলাতক।

ওই কলেজছাত্রী জানান, আলমগীরের সঙ্গে আমার পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। আমি তার বাড়িতে এসেছি তাকেই বিয়ে করব। যদি বের হতে হয় তাহলে বাড়ি থেকে আমার লাশ বের হবে। আলমগীর আমাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে রংপুরের বাসায় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে উঠি।

এ ঘটনায় প্রেমিক আলমগীর হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে সানিয়াজান ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মানিক মিয়া বলেন, গত ২৬ জুলাই থেকে মেয়েটি ছেলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করলে বিষয়টি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।

সানিয়াজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তালুকদার বলেন, এ ঘটনা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।