• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজারে দাম কমল শীতের সবজির, স্বস্তি ব্রয়লারেও

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৩  

বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের সবজি। সরবরাহ বাড়ায় রংপুরে কিছুটা কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। এতে ক্রেতাদের মধ্যে দেখা গেছে স্বস্তি। সেই সঙ্গে ব্রয়লার মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। তবে মাছের বাজার একটু বাড়তি। বিক্রেতারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে সরবরাহ কম, তাই দাম একটু বেশি।   

শুক্রবার সকালে রংপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। 

রংপুরের কাঁচাবাজারগুলোতে সবচেয়ে কম দামে যে সবজিটি পাওয়া যাচ্ছে, তা হলো পেঁপে। প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। আকারভেদে ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিষ্টি কুমড়া, মুলা আলু। বেগুন গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। 

বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে পটল, করলা, শসা, ঢেঁড়স, ঝিঙা ধুন্দল। এসব সবজি গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। 

কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ রফিক বলেন, শীতের সবজি শিম, ফুলকপি, টমেটো বাজারে আসতে শুরু করায় দাম এখন কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে সামনে এই শীতের সবজির দাম আরো কমবে।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙাশ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, টাকি ৪০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই ২৯০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি আকারের ইলিশের কেজি হাজার ১০০ থেকে হাজার ২০০ টাকা।

মাছের দামের বিষয়ে সিটি বাজারের মাছ বিক্রেতা ফজল উদ্দিন বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে বাজারগুলোতে মাছ কম আসছে। পরিবহন সংকটে গাড়ি ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। কারণে মাছের বাজার একটু বাড়তি হলেও ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।

অন্যদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি ককের কেজি ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা। পাশাপাশি গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস হাজার ১০০ টাকা।

সিটি বাজারের মুরগি বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকার মতো কমেছে। গত সপ্তাহে ১৯০ টাকার বেশি দামে ব্রয়লার বিক্রি করলেও সপ্তাহে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছি। পাকিস্তানি কক এবং সোনালি মুরগী আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –