• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তালিকাভুক্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের পরিচয় সংকট দূর করা হবে

প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২৩  

 
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, ‘হলুদ সাংবাদিকতায় পেশার সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। প্রেস কাউন্সিলের তালিকাভুক্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের পরিচয় সংকট দূর করা হবে। যোগ্য সাংবাদিকরা প্রেস কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত হবেন। ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নেওয়ার মত করে সাংবাদিকদের তালিকাভুক্তি করা হবে। এতে অনিবন্ধিতদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।’

গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) রংপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দেশে সাংবাদিক কারা হবেন, তাদের যোগ্যতা কি হবে, এনিয়ে কোনো আইন নেই। সাংবাদিকদের তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েট কিংবা গ্র্যাজুয়েট না হলেও কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা সুযোগ পাচ্ছে। আমরা স্থানীয় পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এবং ঢাকায় বিভিন্ন মিডিয়া হাউজের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তালিকা সংগ্রহ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান সাংবাদিকদের নিবন্ধন হোক। এটি হলে প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের সুবিধা-অসুবিধাসহ নানা বিষয় দেখভাল করতে পারবে। সেই সাথে সাংবাদিকরা জবাবদিহিতার আওতায় আসবে।’

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চিকিৎসক, আইনজীবী, ইঞ্জিনিয়ার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরতদের নিবন্ধন রয়েছে। অথচ সাংবাদিকতার মত মহান পেশায় নিয়োজিতদের কোনো নিবন্ধন নেই। এর ফলে এ যাদের উপযুক্ততা নেই তারাও এ পেশায় আসছে। ফলে হলুদ সাংবাদিকতা বেড়ে যাচ্ছে এবং সাংবাদিকতা পেশার সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘যার কোনো নিয়ম-নীতিমালা নেই, প্রচার কিংবা প্রকাশে গেটকিপার নেই এটি সাংবাদিকতা হতে পারে না। প্রচারমুখী সাধারণ মানুষের সাথে একদল মানুষ ফেসবুক সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা করছে। তাই ফেসবুক সাংবাদিকদের উৎসাহ দেওয়ার সুযোগ নেই। তাদের অপসাংবাদিকতা রুখতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’

প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘অপসাংবাদিকতা রুখতে প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২০১৫ সালে নতুন আইনের প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়েছে। এতে কোনো সাংবাদিক মিথ্যাচার করে সংবাদ পরিবেশন করলে তাদের এক টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে। এ আইন পাস হলে প্রেস কাউন্সিলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও সন্তুষ্টি আসবে।’

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ ও উন্নয়ন) হাবিবুর হাসান রুমির সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে রিসোর্সপার্সন হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসের সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ অন্য অতিথিরা।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –