• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যবসায়ী ফরেস মিয়া হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২৩  

রংপুরে ব্যবসায়ী ফরেস মিয়া হত্যা মামলায় ৪ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ শহিদুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের পুলিশী প্রহরায় রংপুর কেন্দ্রীয় করাগারে পাঠানো হয়।  

জানা গেছে, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কান্দি কাবিলপাড়া গ্রামের আমিন মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী ফরেস মিয়া ২০১৯ সালের ৭ ফেব্ররুয়ারি দুপুরে স্থানীয় চৌধুরানী হাটে তার পালিত ছাগল বিক্রি করে বাসায় আসেন। এরপর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে বাসায় ফিরে না আসায় স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় তাকে খুঁজতে থাকেন। এ ঘটনায় ৯ ফেব্রয়ারি পীরগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে তার বাবা আমিন মিয়া। একই দিন স্বজনরা কাবিলপাড়া গুচ্ছ গ্রামের বালুর স্তুপে ফরেস মিয়ার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহত ফরেস মিয়ার বাবা আমিন মিয়া বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে শাহিন মিয়া ও জাহিদুল ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে তারা দুজনই ফরেস মিয়াকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত শাহিন মিয়া ও জাহিদুল ইসলামের নাম জানালে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে তারা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। 

তদন্ত শেষে পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) আজিম উদ্দিন শাহিন মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, সাজেদুল ইসলাম ও কাল্টু মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং লাশ গুম করার অপরাধে আরো ৫ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী পিপি  আব্দুল মালেক এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে ন্যায় বিচার পেয়েছেন বলে জানান। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –