• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

লালমনিরহাটে কবিরাজ হত্যায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২৩  

লালমনিরহাটে কবিরাজ হত্যার দায়ে স্বামী ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে লালমনিরহাট আদালতের দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- লালমনিরহাট সদর উপজেলার খোচাবাড়ি এলাকার মহির উদ্দিনের ছেলে দবিয়ার রহমান এবং তার স্ত্রী শাহিনা বেগম।

ভুক্তভোগী শাহিনা বেওয়া আদিতমারী উপজেলার খাতাপাড়া শিল্পকুঠি এলাকার ভ্যান চালক মৃত তৈয়ব আলীর স্ত্রী।

জানা যায়, শাহিনা বেওয়া স্বামীর মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই একরামুল হকের বাড়ির পাশে ঘর করে বসবাস শুরু করেন। এছাড়া অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ এবং কবিরাজি করে এক ছেলে ও দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তিনি। কবিরাজি করতে গিয়ে দবিয়ার রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। একপর্যায়ে শাহিনা বেওয়া বিয়ের জন্য চাপ দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে দবিয়ার রহমানের স্ত্রী শাহিনা বেগম ক্ষিপ্ত হন। পরে স্বামী-স্ত্রী পরামর্শ করে শাহিনা বেওয়াকে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ডেকে নেন। ঐদিন রাতে শাহিনা বেওয়াকে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি পাকার মাথা এলাকায় তিস্তা নদীর চরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাস রোধে হত্যা করেন। এ ঘটনার পরের দিন ৭ নভেম্বর শাহিনা বেওয়ার লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। 

মৃত শাহিনা বেওয়ার ছোট ভাই একরামুল হক এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে অভিযুক্ত দবিয়ার রহমান ও তার স্ত্রী শাহিনা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ দবিয়ার এবং তার স্ত্রী শাহিনার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে সোমবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন আহমেদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –