• সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কুড়িগ্রামে ভারী বৃষ্টিতে বাড়ছে নদ-নদীর পানি

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২৩  

 
কুড়িগ্রামে দুইদিন ধরে ফের বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নদ-নদী তীরবর্তী মানুষ বিশেষ করে আমন খেতের কৃষকরা আতঙ্কে পড়েছেন। ভারী বর্ষণের ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।

জেলা শহরের মডেল মসিজদ, ফায়ার সার্ভিস, পিটিআই মাঠসহ বিভিন্ন অফিস আদালতের সামনে জলাবদ্ধতায় বিপাকে পড়েন শহরবাসী এদিকে, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে জেলার খেটে খাওয়া ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষজন। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

গত দুদিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নদনদীর নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। প্রতিদিন বাড়ছে নদ নদীর পানি। তবে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। অন্যান্য সবগুলো নদ নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যা আতংকে নদী পাড়ের মানুষ। সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাইঝাড় এলাকার সাহেদ আলী বলেন, কিছুদিন আগে বৃষ্টির পানিতে আমার আমন ক্ষেত তলিয়ে ক্ষতি হয়েছিল। পরে পানি শুকিয়ে যাবার পর আবারও নতুন করে জমিতে ধান রোপণ করেছি। এবার যদি আবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে। আমার আর ক্ষমতা নাই যে আবারও নতুন করে ধান রোপণ করব।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামী ২৬-২৭ তারিখ পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে উলিপুর, চিলমারী ও সদরের কিছু অংশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। তবে তিস্তার পানি বিপৎসীমার মাত্র ২ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখনো সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –