• সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভুয়া কাগজে আসামির জামিন, মুহুরিসহ গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৩  

 
কাগজপত্র জাল করে প্রতারণার মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় এক আসামির জামিন নেওয়ার ব্যবস্থা করানোর অপরাধে আবুল হোসেন (৪০) নামের এক মুহুরিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (২৩ আগস্ট) ভোরে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ধনির বাজার থেকে আবুল হোসেন মুহুরিকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গ্রেফতার আবুল হোসেন মুহুরি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার রাজবল্লব গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি ও তথ্যমতে অপর আসামি মোক্তার আলীকে একই উপজেলার সাতদরগা বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আদালতের কাগজপত্র জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার, স্ক্যানার ও প্রিন্টারসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়।

পিবিআই রংপুর সূত্রে জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন আসামি আব্দুল মুনিম। তাকে জামিনে মুক্ত করানোর দায়িত্ব নেন আবুল হোসেন মুহুরি। এজন্য তিনি মামলার এজাহার, বাদীর অভিযোগ, সুরতহাল রিপোর্ট, ভিসেরা রিপোর্ট, আসামি ফরোয়ার্ডিং, আদালতের ক্রিমিনাল মিস কেস নম্বর-৯৯/২০২৩ জাল করে জামিন আবেদনের জন্য সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র প্রেরণ করেন।

আইনজীবী সেই অনুযায়ী হাইকোর্ট থেকে আসামি আব্দুল মুনিমের জামিনের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, মামলার কাগজপত্র জাল করে প্রতারণার মাধ্যমে আদালতের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই আসামিকে জামিন নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন আবুল হোসেন মুহুরি।

প্রতারণার মাধ্যমে জামিন নেওয়ার ঘটনাটি হাইকোর্টের নজরে এলে আসামি আব্দুল মুনিমের জামিন বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে শাহবাগ থানায় আবুল হোসেন মুহুরির বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে প্রতারণার শিকার আসামি আব্দুল মুনিম একটি মামলা করেন।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই রংপুরের পরিদর্শক ফেরদৌস আহমেদ জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্র জালিয়াতি করে আসছে। জালজালিয়াতি চক্রের সদস্য মোক্তার হোসেনের সহায়তায় আবুল হোসেন মুহুরি দীর্ঘদিন যাবত এ ধরনের প্রতারণা করেন। চক্রের সকল সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –