• সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাঁশ চাষের নতুন প্রযুক্তি ‘কঞ্চি কলম পদ্ধতি’

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২৩  

 
নীলফামারীতে নতুন প্রযুক্তি ‘কঞ্চি কলম পদ্ধতিতে’ বাঁশ চাষকে ব্যাপক আকারে চাষিদের মাঝে বিস্তারে কাজ করছে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্র। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০২০ সালে ১৭ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্র চালু করা হয় ডোমারে।

জানা যায়, আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্রে দুটি ল্যাবরেটরি, একটি ওয়ার্কশপ, একটি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও নার্সারি সেড এবং বেড রয়েছে। এ কেন্দ্রে বুদুম, বরাক, মাকলা, রঙিন, বাইদ্দা ও বান্দিসিসহ ২০টিরও অধিক প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। নতুন প্রযুক্তির এ পদ্ধতির প্রচলন বাড়াতে প্রায় ১৫শ’ সুবিধাভোগীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বাঁশের তৈরি নানা পণ্য বিক্রি করে কয়েক হাজার পরিবার জীবন নির্বাহ করেন। নতুন উদ্ভাবিত ‘কঞ্চি কলম’ পদ্ধতিতে কম সময়ে, স্বল্প খরচে বাঁশ উৎপাদন করা যায়। এজেলার মাটি ও আবহাওয়া বাঁশ চাষের উপযোগী হওয়ায় নীলফামারীর ডোমারে ও দিনাজপুরের নিউ পাকের হাটে বাণিজ্যিকভাবে বাঁশ চাষ শুরু করেন স্থানীয়রা। এরমধ্যে রংপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ছয়টি গবেষণা কেন্দ্রিক প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হয়েছে।

নীলফামারী ডোমার আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান সরকার ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, নতুন প্রযুক্তি ‘কঞ্চি কলম’ পদ্ধতি বাঁশ চাষে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এ পদ্ধতিতে চাষ হলে বাঁশের উৎপাদন ও বাঁশের বহুমাত্রিক ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলের মানুষ কর্মসংস্থানের পাশাপাশি  আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –