• সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রংপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছাড়িয়েছে দেড় হাজার, মৃত্যু ২

প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২৩  

রংপুর বিভাগে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ২২ জন।

এ নিয়ে বিভাগের আট জেলায় সর্বমোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৬৪ জনে। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালসহ আট জেলায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০০ জন।

শুক্রবার বিকেলে  রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাটে ৩, নীলফামারীতে ৭, গাইবান্ধায় ৩, ঠাকুরগাঁওয়ে ৪ এবং পঞ্চগড়ে ১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ৭৭ জন এবং বুধবার ৫৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। বর্তমানে (শুক্রবার) রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ৪০ জনসহ জেলায় ৪৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া দিনাজপুর এম আব্দুর র‌হিম মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতালে ৩০ জন চিকিৎসাধীনসহ জেলায় ৩৬, নীলফামারীতে ২০, লালমনিরহাটে ১৭, কুড়িগ্রামে ২০, গাইবান্ধায় ২২, ঠাকুরগাঁওয়ে ২১ এবং পঞ্চগড় জেলায় ১৫ জনসহ পুরো বিভাগে মোট ২০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি রংপুর জেলায় ৪৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আবু হানিফ আরও জানান, এ বছর ডেঙ্গু সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিভাগে সর্বমোট ১ হাজার ৫৬৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে চিকিৎসা শেষে ১ হাজার ৩৬২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুড়িগ্রাম ও রংপুরের দুই যুবক মারা গেছেন।

হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা থেকে আসা মাঈদুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মাঈদুল ইসলাম কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোপালের খামার এলাকার শহীদ কারীর ছেলে। তিনি ঢাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে, গত ৪ জুলাই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান বুলেট (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। বুলেট রংপুর মহানগরীর পুরাতন সদর হাসপাতাল সুইপার কলোনির মানু লালের ছেলে।

এদিকে, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, হঠাৎ করেই ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ছে। তবে সচেতনতামূলক প্রচারণার পাশাপাশি জেলাপর্যায়ে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও চিকিৎসার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুইজন মারা গেছেন। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশির ভাগই ঢাকা থেকে ফিরেছিলেন। বর্তমানে ২০০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –