• সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুপারি বাগানে বস্তায় আদা চাষ

প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২৩  

লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সুপারি বাগানে বস্তায় আদা চাষ করেছেন স্কুল শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রুবেল। এ পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রায় এক একর সুপারি বাগানের ৪০ শতাংশ জমিতে আদা চাষ করেন তিনি। অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে বাড়তি আয়ের আশায় সুপারি বাগানে ৫ হাজার ৫০০ বস্তায় চাষ করেছেন আদা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এখান থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা আয় হবে বলে আশা করছেন তিনি।

আব্দুর রাজ্জাক রুবেল লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার আলহাজ্ব সমসের উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

আদা চাষি আব্দুর রাজ্জাক রুবেল জানান, অবসর সময়কে কাজে লাগাতে ও বাড়তি আয় করতে পতিত জমিতে লাভজনক চাষাবাদ করার পদক্ষেপ খুঁজতে থাকেন ইউটিউবে। পরে স্থানীয় কৃষি অফিস ও কৃষিবিদদের সঙ্গে কথা বলে হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে আধুনিক পদ্ধতিতে আদা চাষ লাভজনক হবে বলে জানতে পারেন। আদাবীজ, বস্তা, কাঠের গুঁড়া ও মাটি সংগ্রহ করে জৈব ও রাসায়নিক সার মিশিয়ে বস্তা প্রস্তুত করেন। 

প্রস্তুতকৃত বস্তা ১০-১২ দিন রাখার পর বস্তায় ভর্তি করে সুপারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে রেখে আদার বীজ রোপণ করা হয়। এই পদ্ধতিতে আদা চাষে সব মিলে প্রতি বস্তায় খরচ হবে প্রায় ৪০ টাকা। প্রতি বস্তায় ৭০০ গ্রাম থেকে ১.৫ কেজি পর্যন্ত আদার ফলন হতে পারে। এতে মোট ২ লাখ টাকা খরচের বিপরীতে প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় হবে বলে দাবি করেন এ চাষি।  

শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রুবেলের সহকর্মী কৃষি শিক্ষক আরিফুল ইসলাম জানান, বস্তায় আদা চাষের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে বপন করা বীজ থেকে আদা গাছ হলেও বীজটি নষ্ট হয় না। আদা বীজকে পুনরায় খাবারের জন্য ব্যবহার করা যায়। এতে আদা চাষের অর্ধেক খরচ আদা উত্তোলনের পূর্বেই উঠে আসে। ফলে স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া জানান, কৃষি অফিস থেকে চাষি আব্দুর রাজ্জাক রুবেলকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে বস্তায় আদা চাষে ব্যাপক ফলন পাবেন তিনি। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –