• সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

গ্রীষ্মকালীন তরমুজে কৃষকের সাফল্য

প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২৩  

কুড়িগ্রামে এই প্রথম বিষমুক্ত মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়ে খুশি চাষিরা। কম খরচে অধিক মুনাফ পাওয়ায় তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে অন্যান্য চাষিদের মধ্যেও। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ করা গেলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলাতেও রফতানি করা যাবে তরমুজ।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলায় এই প্রথম গ্রীষ্মকালীন পরিবেশবান্ধব বেবি তরমুজ পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নে তিনজন কৃষক এক বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এ পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে তরমুজ চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা। আড়াই লাখ টাকায় তরমুজ বিক্রি করে তাদের লাভ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

কৃষক পবনচন্দ্র সরকার জানান, দুই মাস পরপর লাগানো যায় এই জাতের তরমুজ। শীতের সময়টা বাদ দিয়ে বছরে তিন বার এর ফলন হয়। মাচা করেই এই জাতের তরমুজ চাষ করতে হয়। এক একটার ওজন হয় ৩-৬ কেজি। রং লাল টসটসে এবং সুস্বাদু হয়। এই কারণে স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও চাষের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

ছিনাই ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের কৃষক রওশন আলী বলেন, আমার ১২ শতক জমিতে ২৮ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে মালচিংয়ে আড়াই হাজার টাকার বাঁশ, সুতা ও নেটে ১২ হাজার টাকা, সেচ ও কীটনাশকে ৩ হাজার টাকা, জৈব সার ও রাসায়নিক সারে ৩ হাজার টাকাও ১০ জন শ্রমিক বাবদ খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। এ নিয়ে মোট ২৮ হাজার ৬০০ টাকা খরচ হয়েছে। খরচবাদে ৬০-৭০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, এই প্রথম জেলাতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা হয়েছে। আমি মাঠ পরিদর্শন করেছি। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। চাষিরা এটিকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে পারলে জেলায় ফলের চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলাতেও বিক্রি করে আয় বৃদ্ধি করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –