• সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রংপুরে খরার পর বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে আমন চাষে

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২৩  

 
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বদলে গিয়েছে বাংলার ঋতুবৈচিত্র। ভরা বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে না। এরই ধারাবাহিকতায় এবারো আষাঢ় শেষ হয়ে মধ্য শ্রাবণেও বৃষ্টির দেখা ছিল না। এতে বর্ষা মৌসুমেই খরার কবলে পড়ে দেশ।

ফলে রংপুর অঞ্চলসহ সারা দেশেই ব্যাহত হয় চাষাবাদ। বিশেষ করে আমন ধানের চারা রোপণে বিপাকে পড়েন কৃষক। তবে টানা বৃষ্টিতে এ চিত্র বদলাতে শুরু করেছে। এতে স্বস্তি ফিরছে কৃষকের মাঝে। ব্যস্ত সময় পার করেছেন তারা।

এ বছর জুন পেরিয়ে জুলাই মাস শেষ হলেও টানা এক মাস বৃষ্টিপাতের দেখা মেলেনি রংপুরে। এতে তীব্র পানি সংকটে আমন ধান রোপণ শুরু করতে চাষিদের সম্পূরক সেচের ওপর নির্ভর হতে হয়। এ পরিস্থিতিতে চলতি মৌসুমে জেলায় আমন ধান রোপণে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সম্পূরক সেচ চালু করা হয়। তবে বাড়তি খরচ বহন করতেও সক্ষম নন অধিকাংশ কৃষকরাই।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বলেন, চলতি আমন মৌসুমে রংপুর জেলায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে আমন রোপণের গতিটা প্রথমদিকে কিছুটা কম ছিল। তাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে, পিডিবি,নেসকো,অন্যান্য সেচ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যাপকভাবে মিটিং করে প্রচার প্রচারণা, এসব নিয়ে কৃষকদের মাঝে চেতনা তৈরি করে। ধানের চারা বড় হয়ে গেলে উৎপাদন কমে যাবে তাই সম্পূরক সেচ খুব জরুরি। সবাই এই সম্পূরক সেচে সাড়া দিয়েছে। ৯ আগস্ট পর্যন্ত ৭৭ শতাংশ রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। অর্থাৎ ১ লাখ ২৮ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে রোপণ কার্য শেষ হয়েছে। গত দুই-তিন দিনের বৃষ্টিতে রংপুরের বাকি জমিগুলোও রোপণ উপযোগী হয়ে যাবে। রোপা আমন চাষে আমরা একটা কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাব এবং বাম্পার ফলন পাব বলে প্রত্যাশা করছি।

ডিমলার কৃষক আলাউদ্দিন বলেন, বৃষ্টির উপর ভিত্তি করি আমন ধান রোপণ করি। কিন্তু এখন আবহাওয়া পাল্টাইছে ঠিক সময়ে বৃষ্টির দেখা নাই। টাকার অভাবে সময়মতো পুরা জমিতে ধান রোপণ করতে পারি নাই । তিন দিন হইলো বৃষ্টি হচ্ছে। এখন শেষের জমিটুকু রোপণ করতে সুবিধা হবে।

দমদমার কৃষক তৈয়বুর আলী বলেন, যে বৃষ্টি আষাঢ়ে হওয়ার কথা সেই বৃষ্টি এলা আসল। নগদ আমন রোপণ করা শেষের পথে। প্রথম থাকি সেচ দিয়া রোপন করি। এই বৃষ্টিতে আর কতটুকু জমি রোপন হইবে। শুরু থাকি বৃষ্টি হইলে হামার খরচ কমে। তারপরও দুই দিনের বৃষ্টিতে উপকার হইছে। বাকি ৩ বিঘা জমিতে ধান রোপণের আর সমস্যা হবে না।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –