• মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সন্তানের সামনে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর ফাঁস নিলেন রবীন্দ্র

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২৩  

 
রংপুরের কাউনিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে সন্তানের সামনে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়েছেন  মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামী রবীন্দ্রনাথ। শুক্রবার রাতে উপজেলার কূর্শা ইউপির ধর্মেশ্বর ড্রাইভারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শুভা রাণী রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী এবং রবীন্দ্রনাথ ড্রাইভারপাড়া গ্রামের গৌরাঙ্গ চরণের ছেলে।

শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফরহাদ মন্ডল।

জানা যায়, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে শুভা রাণীর ঝগড়া হয়।  একপর্যায়ে শুভাকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন রবীন্দ্রনাথ। এতে গুরুতর জখম হন শুভা। তাদের চিৎকারে রবীন্দ্রনাথের ছোট ভাই চেতনা এবং চাচাতো ভাই গোলাপ চন্দ্রসহ আশপাশের লোকজন। 

এ সময় ভাবিকে বাঁচাতে গিয়ে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে জখম হন চেতনা চন্দ্রও। পরে শুভা রাণী ও চেতনা চন্দ্রকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৬টার দিকে মারা যান শুভা রানী। চিকিৎসাধীন রয়েছেন চেতনা চন্দ্র।

এদিকে, ভোরে বাড়ির গোয়াল ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রবীন্দ্রনাথ। খবর পেয়ে শনিবার সকাল ৭টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে কাউনিয়া থানা পুলিশ।

নিহতদের ছেলে উজ্জল চন্দ্র বলেন, বাবা রবীন্দ্র দুই-তিন বছর ধরেই মানসিক রোগে ভুগছিলেন। মাঝে মধ্যেই এ রকম করত কিন্তু রাতে হঠাৎ মাকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপ দিতে থাকেন। মাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার চাচাসহ আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন। বাবাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আমরা রাতেই ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছিলাম। বাবার হাতে ধারালো দা থাকায় আমরা তার সামনে কেউ যেতে সাহস পাইনি। মাকে কুপিয়ে ওই অবস্থায় বাবা গোয়াল ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

রংপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –