• মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চলতি অর্থবছরেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন

প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২৩  

 
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ‘তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।’ সেইসঙ্গে পরিষদের পক্ষ থেকে সাত দিনব্যাপী কৃতজ্ঞতা ও আনন্দ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী ও সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান তিস্তা অববাহিকার কোটি মানুষের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।

সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেছেন, শত প্রতিকূলতার পাহাড় ডিঙিয়ে রংপুর জিলা স্কুল মাঠের লাখো মানুষের মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি দৃপ্তকণ্ঠে বলেছেন, আমাদের তিস্তা মহাপরিকল্পনা সেটাও আমরা বাস্তবায়ন করবো। তার ঐতিহাসিক এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে সূচিত হলো উত্তর জনপদের কোটি মানুষের স্বপ্ন যাত্রা বাস্তবায়নের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে খুবই স্পষ্ট ও ইতিবাচক ঘোষণা হিসেবে মূল্যায়ন করছে।

এরই মধ্যেই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়ে গেছে। দু’মাসের মধ্যেই অর্থাৎ চলতি অর্থবছরেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কাজের উদ্বোধন হবে। যা নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা কবীর বিন আনোয়ার।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমাদের স্লোগান ছিল, কোটি মানুষের স্বপ্ন তিস্তা মহাপরিকল্পনা, স্বপ্ন বুনেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, বাস্তবায়নে শুধুই আস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের দাবি ছিল পদ্মাসেতুর মতো নিজের টাকায় তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে স্পষ্টভাবে আমাদের তিস্তা মহাপরিকল্পনা আমরাই বাস্তবায়ন করবো ঘোষণায় আমাদের দাবির প্রতিফলন স্পষ্ট হয়েছে। এর মাধ্যমে মূলত প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণার কথা বলেছেন। এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেওয়ায় তিস্তাপাড়ের স্বপ্নবোনা কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।

একই সঙ্গে নেতৃবৃন্দ বলেন, এখন আমরা চাই একনেকে অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে  দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করে কাজ শুরু হোক। প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনার উদ্বোধনের অপেক্ষায় এখন তিস্তাপাড়ের মানুষ।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিস্তার দুই তীরে সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শুক্রবার বাদ জুমা তিস্তা নদীর দুই তীর এবং জনপদের প্রতিটি মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিস্তার দুই তীরের সব উপজেলার সব লোকালয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা, আনন্দ আড্ডা, সর্বজনের আনন্দ সংহতি সভা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২ আগস্ট) রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বলেন, প্রত্যেক এলাকার উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করেছি। তিস্তা মহাপরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করব।

সরকারপ্রধান বলেন, রংপুরকে বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সেই সঙ্গে একটা বিভাগের উপযুক্ত সব প্রতিষ্ঠান আমরা গড়ে তুলেছি। আপনারা জানেন, সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রংপুর বিভাগে খাল খননের কাজ চলছে। যেগুলো হয়ে গেলে এখানে সেচের জন্য আর কষ্ট হবে না। তার সঙ্গে আমাদের তিস্তা মহাপরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করব।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –