• মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রধানমন্ত্রীর জনসভা: ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণে সেজেছে রংপুর নগরী

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৩  

 
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে চার বছর পর আগামী বুধবার (২ আগস্ট) রংপুরে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আগে পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণে সেজে উঠেছে রংপুর নগরী। সর্বত্র বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। রোববার (৩০ জুলাই) সকালে নগরীর চেকপোস্ট থেকে জিলা স্কুল পর্যন্ত সড়কে গিয়ে দেখা যায় বাহারি রঙের কাপড় দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের তোরণ তৈরি করা হয়েছে।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের আরও উজ্জীবিত করবে। আর তিস্তাপাড়ের মানুষের আশা প্রধানমন্ত্রী তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ এ অঞ্চলের উন্নয়নের ঘোষণা দেবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে পাল্টে গেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতির দৃশ্যপট। চাঙা হয়ে উঠেছে দলটির অঙ্গ সংগঠনগুলো। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে ইতোমধ্যে একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা ও মহানগর নেতারা। পাশাপাশি তারা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল রংপুর জিলা স্কুল মাঠসহ আশপাশ এলাকায় সাজানো-গোছানোর কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত এগিয়ে চলেছে মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ। নানারকম ব্যানার, ফেস্টুন আর তোরণে ছেয়ে গেছে নগরীর প্রধান সড়কগুলো। তাই রংপুর এখন তোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে। যে দিকে চোখ যায় সেই দিকে তোরণ আর তোরণ।

প্রধানমন্ত্রীর রংপুরে আগমন উপলক্ষে যে সড়কটি ব্যবহার করবেন সেই সড়কসহ নগরীর প্রধান সড়ক গুলোতে নির্মাণ করা হচ্ছে এসব তোরণ।

তোরণের গায়ে নেতাদের ছবিসহ প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে সাঠানো হয়েছে ব্যানার ও ফেস্টুন। এই সড়কটিতে প্রায় অর্ধশত তোরণ নির্মাণ করতে দেখা গেছে। নগরীতে তোরণ নির্মাণ শ্রমিকদের যেন দম ফেলানোর ফুসরত নেই।

নিজেদের প্রতি নেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই নেতা-কর্মীরা এসব তোরণ ও ব্যানার টানিয়েছেন। তাছাড়া এতো দিন পর প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে উৎসব হিসেবেও দেখছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল ইসলাম জানান, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী সেনাকুঞ্জ থেকে জিলা স্কুল মাঠে যেতে এই সড়ক টুকু ব্যবহার করবেন সে জন্য দলের ভিআইপি নেতারা তোরণ নির্মাণের সুয়োগ পেয়েছেন। এই সড়কে আগামী নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বর্তমান এমপি, মন্ত্রীদের তোরণ বেশি দেখা যাচ্ছে।

জসিম নামে আরেক জন বলেন, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী এই সড়ক দিয়ে জিলা স্কুল মাঠের জনসভায় যাবেন সেহেতু তার দৃষ্টি আকর্ষণের পথ এটি। নেতাকর্মীরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ ও সরব উপস্থিতি দেখানোর জন্য নিজের পরিচিতি তুলে ধরে তোরণ নির্মাণ করেছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা কাইয়ুম সরকার বলেন, দীর্ঘদিন পর প্রধানমন্ত্রী রংপুরের আসছেন। এজন্য রংপুরের মানুষ আশায় বুক বেঁধে রয়েছে। তার আগমনে এ অঞ্চলে নতুন করে উন্নয়নের দাঁড় খুলবে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তাদের প্রিয় মানুষটিকে এক নজর দেখার জন্য।

এদিন তিনি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন। জনসভায় ১০ লাখের বেশি মানুষের সমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা অধীর আগ্রহে আছেন প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে।

প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির হিসাব মিলাতে শুরু করেছে রংপুরের মানুষ। শেখ হাসিনা সর্বশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এসময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুইটি নির্বাচনী জনসভা করেছেন। এরপরে আর তিনি রংপুরে আসেননি।

সাড়ে ৪ বছরের বেশি সময় পর শেখ হাসিনা রংপুরে আসছেন। তিনি দ্বাদশ নির্বাচনের প্রচারণা রংপুর থেকে শুরু করবেন বলে দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে। তাই রংপুরবাসী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রংপুর জিলা স্কুল মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় রংপুর বিভাগের ৫৮টি উপজেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ আনার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। জনসভা সফল করতে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় বর্ধিত সভা করা হয়েছে। ওই সভায় ৪ মন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী জনসভা করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –