নির্বাচনে সহিংসতা রোধ করতে পারে সহমর্মিতা

 
নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা রোধ করতে সহমর্মিতা বেশি জরুরি বলে মনে করছেন ধর্মীয় নেতা ও বিশিষ্টজনেরা। তাদের দাবি, প্রত্যেকটি নাগরিকের মধ্যে দেশপ্রেম ও সাংবিধানিক চেতনা থাকা দরকার।

শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে রংপুর পর্যটন মোটেলে অনুষ্ঠিত নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী ধর্মীয় সম্প্রীতি সুরক্ষায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রুরাল অ্যান্ড আরবান পুরর্স পার্টনার ফর সোস্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (রূপসা) এই সংলাপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে রূপসার নিবার্হী পরিচালক হিরণ্ময় মণ্ডল সভাপতিত্বে আন্তঃধর্মীয় এই সংলাপে বক্তব্য রাখেন - রংপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ইমাম মাওলানা জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্রাহ্মম সংসদের রংপুরের সাধারণ সম্পাদক অসীম গাঙ্গুলী, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী বৌদ্ধ কল্যাণ পরিষদের নেতা শুভমিত্র ভিক্ষু, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রংপুর মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সুশান্ত ভৌমিক, রংপুর মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অলক নাথ, রংপুর প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির জিতু, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফরহাদুজ্জামান ফারুক প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন পূর্বে, নির্বাচনকালীন ও পরবর্তী সময়ে যেকোনো ধরণের সহিংসতা রোধে সবার মধ্যে সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সহমর্মিতা থাকা দরকার। কারণ মানবিক সংকটে সহমর্মিতাই আমাদের পথ দেখায়।

নির্বাচনী সহিংসতায় ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সুযোগ সন্ধানীরা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে মরিয়া থাকে। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হয়। তরুণ সমাজসহ শিক্ষার্থী, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকলকে সচেতন হয়ে সমাজের মধ্যে সামাজিক এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা ছড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা ছাড়াও মানবাধিকারকর্মী, সংবাদকর্মী এবং স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। সংলাপ পর্ব শেষে অংশগ্রহণকারীরা সহিংসতা থেকে বিরত থাকাসহ সহিংসতা রোধ ও গুজব প্রতিরোধে শপথবাক্য পাঠ করেন।