• মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৯ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইউপি সদস্য হয়েও চা বানিয়ে চালান সংসার

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৩  

 
নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নয়, জনসেবা করার জন্যই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন ছায়া রানী রায় নামে এক মধ্য বয়সী নারী। তাইতো পর পর দু’বার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েও এখনো তার জীবন-জীবিকা চলে চায়ের দোকানে চা বানিয়ে। সততার সঙ্গে জনসেবা করতে পেরে তিনি অনেক আনন্দিত। আর এমন একজন জনপ্রতিনিধি পেয়ে খুশি তার এলাকার মানুষ।

দিনাজপুর সদর উপজেলার ৪ নম্বর শেখপুরা ইউনিয়নের উত্তর গোপালপুর গ্রামের ছায়া রানী রায়। জীবন ও জীবিকার তাগিদে এবং পরিবারের আহার যোগাতে স্বামী অমল চন্দ্র রায়সহ দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে চায়ের দোকান করেন পুরাতন গাবুড়ার বাজারে। অভাব-অনটনের সংসারের বাড়তি প্রয়োজন মেটাতে একই দোকানে বিক্রি শুরু করেন সবজি। এতে মোটামুটি তাদের সংসারে কিছুটা স্বচ্ছলতা পায়।

ছায়া রানীর চায়ের দোকানে সারাদিন চা-পান করতে আসেন এলাকার মানুষ। এ সময় অনেকের অনেক সমস্যাই তার কানে আসে। সামর্থ অনুযায়ী মানুষের উপকারেও কাজ করে আসছেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে এলাকার মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো বিপুল ভোটে শেখপুরা ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে পুনরায় একই এলাকার মহিলা সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলেও সততার সঙ্গেই চলছেন এখনো। তাইতো চায়ের কাপ আর সবজির দোকানের মধ্যে সীমাবদ্ধ তার পরিবারের জীবিকা। এমন একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান জনপ্রতিনিধি পেয়ে খুশি তার এলাকার নাগরিকরা।

ইউপি সদস্য ছায়া রানীর মতে, নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নয়, জনগনের ইচ্ছা অনুযায়ী তিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। চায়ের দোকান চালিয়ে জনগনের সেবা করতে পেরে তুষ্ট তিনি। তার স্বামীও দোকানে সহযোগিতা করেন তা‌কে।

৪ নম্বর শেখপুরা ইউপি চেয়ারম‌্যান মোমিনুল ইসলাম জানান, তার সততা, নিষ্ঠা ও জনগণের সেবা করার মন মানসিকতার প্রশংসা করেন ঐ চেয়ারম্যানও। মানুষের যেকোনো সমস্যায় পাশে থাকেন বলেই একজন চায়ের দোকানদার হয়েও ইউপি সদস্য হিসেবে ছায়া রানী জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।

বর্তমান সমাজে ছায়া রানী রায়ের মতো একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান জনপ্রতিনিধি সবার কাছে অনুকরণীয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –