• মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৯ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২৩  

 
কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ার জেরে গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে লোকমান মুহুরী নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউপির শিবেরকুটি ময়দানেরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার রাতে এ ব্যাপারে গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউপির শিবেরকুটি ময়দানেরঘাট এলাকার মৃত কুদরত উল্লার ছেলে ও কুলাঘাট ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লোকমান মুহুরী, তার স্ত্রী নাজিনা বেগম নাজি ও ছেলে মো. নাহিদ।

জানা যায়,  এক রিকশা চালকের সুন্দরী স্ত্রীর দিকে কু-নজর পড়ে লোকমান মুহুরীর। রিকশা চালক জীবিকার তাগিদে অর্থ উপার্জনের জন্য রিকশা নিয়ে বাইরে গেলেই লোকমান তার বাড়িতে এসে তার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিতেন। কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে তার স্ত্রীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাতেন এবং বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকীও দিতেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লোকমান মুহুরী চুপিসারে ঐ রিকশা চালকের ঘরে প্রবেশ করেন এবং তার স্ত্রীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেন। এতে গৃহবধূ হতবিহবল হয়ে উপায়ন্তর না পেয়ে লোকমান মুহুরীকে ধাক্কা দিয়ে ঘন থেকে বের হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। উপায় বেগতিক দেখে লোকমান মুহুরী ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।

এর কিছুক্ষণ পর লোকমান মুহুরী ধারালো অস্ত্র সস্ত্রসহ স্ত্রী নাজিনা বেগম নাজি ও ছেলে নাহিদকে নিয়ে আবার রিকশা চালকের বাড়িতে প্রবেশ করে গৃহবধূর ওপর আক্রমণ চালায়। এক পর্যায়ে লোকমান মুহুরী রিকশা চালকের স্ত্রীর পরনের মেক্সি টানাহেচরা করে ছিঁড়ে ফেলেন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন। এ সময় গৃহবধূ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বাচাঁও বাচাঁও বলে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করতে গেলে লোকমান মুহুরী তাদের হুমকী দেন। 

‘আমি একজন মেম্বার,  আমি মানুষের বিচার সালিশ করি, দেখি আমার বিচার কে করতে আসে? পরে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। গৃহবধূকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ঐ গৃহবধূ।

অভিযুক্ত লোকমান মুহুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই পরিকল্পিতভাবে এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, এ রকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –