• মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৯ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিনাজপুরে আউশ ধানের বাম্পার ফলন 

প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৩  

    
চলতি মৌসুমে দিনাজপুরে আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার ১০ হাজার হেক্টর জমিতে উৎপাদিত আউশ ধান থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে ধানের দামও ভালো পাবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।

অন্যদিকে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বীজ, সার, কিটনাশক ও তদারকি পাওয়ায় আগামীতে কৃষকেরা আরও বেশি জমিতে আউশ চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে আশা করছে দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ।

সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আউশ আবাদ সম্প্রসারণে ৬০ জন কৃষক ৬০ বিঘা জমিতে আউশ চাষ করেছেন। তাদের সবাইকে বীজ সার, কিটনাশক প্রদান করে কৃষি বিভাগ। ব্রিধান ৯৮ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে।

কালিকাপুর ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানান, এবার আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান হেক্টরে ৬ থেকে ৭ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন ছাড়িয়ে যাবে।

সদরের কালিকাপুর ব্লকের কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, চলতি মৌসুমে ৬৫ শতক জমিতে আউশ ধানের আবাদ করেছেন। কৃষি বিভাগ বীজ বপন, চারা রোপণ তেকে শুরু করে কাঁটা পর্যন্ত সব তদারকি করছে। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছেন দামও ভালো পাবেন।

সিরাজ উদ্দিন জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবং তাদের দেওয়া বীজে উন্নত জাতের আউশ ধান আবাদ করে তিনি ভাল ফলন পেয়েছেন। বাম্পার ফলন হওয়ায় আগামী বছর আউশ ধানের আবাদ আরও বাড়িয়ে দেবেন।

একই এলাকার কৃষক জমির হোসেন জানান, অধিকাংশ কৃষকের এবার আউশ ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি। আগামীতে আউশ ধানের আবাদ বাড়বে।

কৃষক মনসুর আলী জানান, আগে আউশ ধান ফলন খুব একটা হতো না। কিন্তু বর্তমানে উন্নত জাতের আউশ ধান চাষ করে কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছেন। বিশেষ করে চলতি মৌসুমে উন্নত জাতের আউশ ব্রি ধান ৯৮ ও ব্রিধান ৪৮ আবাদ করে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপ পরিচালক নূরুজ্জামান জানান, চলতি আউশ ধান মৌসুমে ১০ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমি চাষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এবার দিনাজপুরে উৎপাদিত আউশ ধান থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে। প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির আউশ ধান কাটা হয়েছে। ফলন কি পরিমাণ হয়েছে তা নির্ধারণের জন্য রোববার সদর উপজেলার কালিকাপুর ব্লকে নমুনা কর্তন করা হবে ।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –