• মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৯ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাকির খাতাও উদ্ধার করতে পারেননি তারা

প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২৩  

 
‘কাল যখন আগুন লাগে তখন আমি বাসায় ছিলাম। ফোনে জানতে পেরে ছুটে এসে দেখি আমার দোকান পুড়ে শেষ। দোকানে স্টেশনারি, কসমেটিকস যা ছিল সব পুড়ে গেছে। ২৮ থেকে ৩০ লাখ টাকার মাল পুড়ে গেছে। এমনকি বাকির হিসাবের খাতাটাও উদ্ধার করতে পারিনি। এই দোকান থেকেই আমার ও দুই কর্মচারীর সংসার চলতো। এখন তো তিনজনই বেকার হয়ে গেলাম।’

অশ্রুসজল চোখে কথাগুলো বলছিলেন নীলফামারীর জলঢাকা পৌর বাজারের সাইফুল স্টোরের মালিক সাইফুল ইসলাম। শনিবার মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তার দোকানসহ তিনটি দোকান পুড়ে ছাই ও একটি হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

স্নেহা স্টোরের মালিকের ছেলে আমজাদ হোসেন বলেন, আমি এসে দেখি সবগুলো দোকান জ্বলতেছে। আমার বাকির খাতাটা উদ্ধার করতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। এরপর আর কিছু বলতে পারি না। আমরা পাইকারি মালামাল বিক্রি করি। আমার দোকানের প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত রউফ স্টোরের ম্যানেজার আইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাকির খাতাগুলোও উদ্ধার করতে পারিনি। ১৫ লাখ টাকার মতো বাকি রয়েছে সেই টাকা এখন উদ্ধার করা কঠিন হয়ে যাবে।

জলঢাকা ফায়ার অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার রিফাত আল মামুন বলেন, রাত ১১টা ২৭ মিনিট সংবাদ পেয়ে আমরা সেখানে যাই। দোকানগুলোর শাটার বন্ধ ছিল, ভেতরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছিল। আমরা সাটার খুলে আগুন নেভানো শুরু করি। ওখানে কসমেটিকস সামগ্রী থাকার কারণে আগুন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তখন আমরা কাছাকাছি স্টেশনগুলোর সহযোগিতা চাই।

তিনি আরো বলেন, আমি চিন্তিত ছিলাম এ কারণে সেখানে টিনসেড-কাঁচা ঘর অনেক বেশি। আগুনটা ছড়িয়ে গেলে পুরো জলঢাকা বাজারে আগুন লেগে যেত। এ কারণে বাকি স্টেশনগুলোর সহযোগিতায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হই। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এ আগুন লেগেছে। ২০-২৫ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –