• বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৯ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

লালমনিরহাটে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২৩  

 
লালমনিরহাটে দ্বিতীয় স্ত্রী সবুজা বেগমকে নির্যাতন ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী মো. নুর আলমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রোববার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় আরো চারজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- সাজাপ্রাপ্ত আসামি নুর আলমের প্রথম স্ত্রী রোপিতা বেগম, শ্যালক মিন্টু ওরফে মিঠু, মো. বেলাল ওরফে বেল্লাল, শাশুড়ি মোছা. বেগম।

সাজাপ্রাপ্ত মো. নুর আলম লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার চর সিন্দুর্ণা এলাকার একাব্বর আলীর ছেলে।

জানা যায়, আসামি নুর আলম নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার কেওডালা শ্রীরামপুর এলাকায় একটি ইট ভাটায় কাজ করতেন। সেখানে সবুজা বেগম ও তার পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। নুর আলম আগের স্ত্রী এবং সন্তান কথা গোপন রেখে সবুজা বেগমকে বিয়ে করে সেখানেই সংসার শুরু করেন। করোনাকালে নুর আলম সবুজা বেগমকে নিয়ে তার গ্রাম চর সিন্দুর্ণা সাকিনের বাড়ি ফিরে আসলে ঘটে বিপত্তি। পরে নুর আলম সবুজারের মা এবং মামলার বাদী ছকিনা বেগমকে জানান যে, তিনি প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করবেন।

এর আগে, স্বামীর নির্যাতনের কথা সবুজা তার মাকে মোবাইল ফোনে জানাতেন। ২০২০ সালের ২১ মে সকালে জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে ছকিনা জানতে পারেন যে, তার মেয়ে সবুজা বেগম মারা গেছেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম দেখতে পেয়ে থানায় অভিযোগ দেন। এর তদন্তের দায়িত্ব পালন করেন হাতিবান্ধা থানার তৎকালীন এসআই আবু বক্কর সিদ্দিক। তদন্তে বাদী ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ১৬১ ধারায় রেকর্ড করেন। আসামি নুর আলম ও মোছা. বেগমকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় নুর আলম হত্যার কথা স্বীকার করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে নুর আলমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া বাকি চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত খালাস প্রদান করেন।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আকমল হোসেন আহমেদ জানান, দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত নুর আলমকে এই সাজা দেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি আসামিদের খালাস দেওয়া হয়।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –