• বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৯ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংক কর্মকর্তা হয়েও সফল উদ্যোক্তা শাজাহান

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২৩  

আম, লিচু, সুপারি, পেঁপেসহ বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজির বাগান করে সফল হয়েছেন রূপালী ব্যাংক ঠাকুরগাঁও শাখার কর্মকর্তা মো. শাজাহান। তাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেকে। শাজাহান সদর উপজেলার ভেলাজান এলাকার বাসিন্দা।

সরেজমিন দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠে আম্রপালি, সূর্যাপুরি, হিমসাগর, বানানা ম্যাংগোসহ বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি প্রজাতির আম, লিচু, সুপারি বাগান এবং সবজি হিসেবে পেঁপে, চিচিঙ্গা চাষ করেছেন শাজাহান। সবমিলিয়ে ১০-১২ বিঘা জমিতে এসব বাগান করেছেন তিনি।

এবার প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে ফলন তেমন ভালো না হলেও লক্ষাধিক টাকার লিচু বিক্রি করেছেন এ ব্যাংক কর্মকর্তা। এছাড়া আমবাগান থেকে এবার প্রায় ২-৩ লাখ টাকার আম বিক্রির আশা করছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী বছর এসব বাগান থেকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ফল বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন এ উদ্যোক্তা।

সদর উপজেলার ৭ নম্বর চিলারং ইউনিয়নের ভেলাজান মহাজন পাড়া গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে শাজাহান। স্কুলজীবন থেকেই তার গাছ ও প্রকৃতির প্রতি একটা অন্যরকম টান ও ভালোবাসা কাজ করতো। তখন থেকেই একটি দুটি করে বৃক্ষরোপণ করতেন তিনি। পরে চাকরি জীবনে এসে বৃহৎ পরিসরে বাগান করেন।

একই গ্রামের যুবক রেজু আহাম্মেদ রোহান বলেন, ‘শাজাহান ভাই বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান করে সফল ও লাভবান হচ্ছেন। তাকে দেখে আমাদের এই দিকে অনেক যুবক বাগান করতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।’

আনোয়ার হোসেন নামের আরেকজন বলেন, ‘শাজাহানকে দেখে আসছি তিনি ছোটবেলা থেকেই পরিশ্রমী এবং গাছ ও প্রকৃতিপ্রেমী। তিনি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। ব্যাংকে সারাদিন পরিশ্রম করার পরও ছুটির পরে আবার বাগানে পরিশ্রম করেন। তার এমন কর্মকাণ্ড এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। আশা করি তিনি ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করতে পারবেন।’

বাগানে কাজ করা শ্রমিক আব্দুস সামাদ বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা শাজাহানের এসব বাগানে কাজ করে আয় করছে অন্তত ১৫-২০টি পরিবার। এতে তাদের সংসারও ভালো চলে। পুরো বছরেই বাগানে কাজ করেন তিনি।

এ বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা মো. শাজাহান বলেন, ‘ভালোলাগা ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার উদ্দেশ্যে এসব বাগান করা। যদিও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে এসব বাগান করিনি, তারপরও আর্থিকভাবে ভালোই লাভবান হচ্ছি।’

তিনি বলেন, ব্যাংকের কাজ শেষ করে এসেই বাগানে সময় দেই। ছুটির দিনে সম্পূর্ণ সময় বাগানেই চলে যায়। আগামী বছর এসব বাগান থেকে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আলমগীর কবির বলেন, মো. শাজাহন সরকারি চাকরির পাশাপাশি একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমি তার সাফল্য কামনা করি।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –