• বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৯ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

উলিপুরে বন্ধুর বিয়েতে কাঁচা মরিচ উপহার!

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২৩  

 
কাঁচা মরিচের আকাশচুম্বি দামে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। নাগালের বাইরে যাওয়া দামে এই নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যটি কারও কারও কাছে বিলাসী পণ্যে পরিণত হয়েছে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাঁচা মরিচ নিয়ে ট্রল হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে এবার বন্ধুর বিয়েতে উপহার হিসেবে কাঁচা মরিচ দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার একদল যুবক।

সোমবার (২ জুলাই) উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নন্দু নেফরা গ্রামে এক বিয়ে বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। মূলত কাঁচা মরিচের দামের আধিক্যকে উপহাস করে এবং প্রতীকী প্রতিবাদস্বরূপ এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বরের বন্ধুরা।

জানা যায়, সোমবার বিকেলে উলিপুর উপজেলার পাঁচপীর বাজার এলাকার গোড়াই পাঁচপীর গ্রামের মোখলেছুর রহমান এর ছেলে মো. বায়জিদ বাঁধন এর সাথে বিয়ে হয় একই উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নন্দু নেফরা গ্রামের ফেরদৌস আলীর কন্যা ফিমা আক্তার এর। এই সময়ে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় উপহার হিসেবে এই খাদ্যপণটি বেছে নেয় বরের কিছু বন্ধু। বিয়ের দিন বরপক্ষ হিসেবে বরের সাথে যাওয়া বন্ধুরা কনের বাড়িতে বর-কনে কে এই উপহার প্রদান করে।

বরের বন্ধু সবুজ বলন, 'কাঁচা মরিচের দাম এখন অনেক বেশি। আমি জন্মের পর এই খাদ্যপণ্যের এতটা দাম দেখিনি। তাই বন্ধুর বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে আমাদের এই পরিকল্পনা।' তিনি আরও বলন, আমরা ৫ জন বন্ধু মিলে অন্যান্য এই উপহার এর সাথে কাঁচা মরিচ দিয়েছি। এখানে ২ কেজি কাঁচা মরিচ আছে। যা ৯০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে।

এমন অদ্ভুত উপহার পেয়ে বিস্মিত বর-কনে। বর বায়জিদ বাঁধন বলেন, 'আমর বন্ধুরা যেমন মিষ্টি, তেমন ঝাল। কাঁচা মরিচের এই দুর্দিনে এটা উপহার পেয়ে আমি সত্যিই অনেক খুশি।'
কনে ফিমা আক্তার বলেন, 'এমন ব্যতিক্রমী উপহার পেয়ে অবাক হয়েছি। বিয়েতে এমন উপহারের ঘটনা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।'

বিয়ের ছবি তোলার দ্বায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান 'ফটো অ্যানালাইসিস' এর ফটোগ্রাফার জাকির হোসেন বলেন, 'আমি অনেক বিয়েতে ছবি তুলেছি। কিন্তু এমন ঘটনার সাক্ষী কোনদিন হয়নি। এই ঘটনাটি আমার জীবনে স্মরনীয় হয়ে থাকবে।'

উল্লেখ্য, ঈদুল আযহার কয়েকদিন আগে থেকেই কাঁচা মরিচের দাম বাড়তে শুরু করেছিলো। সর্বশেষ এই মসলা জাতীয় খাদ্যপণ্যের দাম দেশের কোথাও কোথাও প্রতি কেজি ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কুড়িগ্রামে প্রতিকেজি সর্বোচ্চ ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা দেশের ইতিহাসে এই প্রথম।

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারনে মরিচের আশানুরূপ ফলন না হওয়া এবং পরে টানা বৃষ্টির কারনে বাজারে মরিচের সরবরাহ কম থাকায় এবং ঈদের সময় তুলনামূলক চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এর দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। তবে এই দামকে অস্বাভাবিক বলছেন খোদ ব্যাবসায়ীরাও।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –