• বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৯ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত থেকে কাঁচামরিচ আসবে কাল, দাম কমার আশা

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২৩  

 
পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ছয়দিনের ছুটি শেষে সোমবার (৩ জুলাই) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি রফতানি বাণিজ্য শুরু হবে। ওইদিন থেকেই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হবে। এতে করে দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কাঁচা মরিচের দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারক।

শনিবার (১ জুলাই) সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাড়তি দামের বাজারে সব সবজির দোকানগুলোতে কাঁচা মরিচের সরবরাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। গুটি কয়েক দোকানে কাঁচা মরিচ শোভা পাচ্ছে। বাড়তি দামের কারণে সব দোকানি কাঁচা মরিচ রাখছে না বলে জানিয়েছেন। বাজারে দুই প্রকারের কাঁচা মরিচ দেখতে পাওয়া গেছে। ভালো মানের কাঁচা মরিচ ৫শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কিছুটা নিম্ন মানের কাঁচা মরিচ ৪শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা আকবর হোসেন বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের দিকে তাকালেই ঝাঁজালো লাগছে। এটা কি সম্ভব যে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৫শ টাকা। ঈদের আগের দিন যে কাঁচা মরিচ আমরা ২৪০ টাকা কেজিতে কিনলাম। রাত পোহালেই সেই কাঁচা মরিচের দাম বাড়তি শুনতে পাচ্ছি। কাঁচা মরিচের দাম বাড়তে বাড়তে এখন এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে চলে গেছে।

হিলি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা মমতাজ হোসেন, গরম ও প্রচন্ড খরার কারণে কাঁচামরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে করে বাজারে চাহিদার তুলনায় কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমের কারণে দাম ঊর্ধ্বমুখী। মোকামে প্রায় প্রতিদিনই কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে দামের কোনো স্থিতিশীলতা নেই। আমরা যখন যে দামে ক্রয় করছি সেই মোতাবেক বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছি। ঈদের আগে দাম কম থাকলেও বর্তমানে মোকামেই কাঁচা মরিচ কিনতে হয় ৪শ টাকা কেজি দরে। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ রয়েছে আবার নষ্ট রয়েছে সবমিলিয়ে আমরা ৫শ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছি। আবহাওয়া ভালো হলে কাঁচা মরিচের সরবরাহ যদি বাড়ে সেক্ষেত্রে দাম কিছুটা কমতে পারে।

হিলি স্থলবন্দরের কাঁচামরিচের আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশীয় কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ায় হঠাৎ করেই দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অস্থিতিশীল হতে শুরু করে। এমন অবস্থায় সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ২৫ জুন আবারও ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয় সরকার। আমদানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হিলি স্থলবন্দরের কয়েকজন আমদানিকারককে কয়েক হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। আইপি হাতে পাওয়ার পর এলসি খুলে ভারতীয় রফতানিকারকদের সেই কপি সরবরাহ করা হয়। এতে করে দীর্ঘ ১০ মাস বন্ধের পর ২৬ জুন সোমবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়। আমদানিকৃত এসব কাঁচা মরিচ বন্দরে ২শ থেকে ২শ ২০ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে বিক্রয় করা হয়।

তিনি জানান, বন্দর দিয়ে একদিন আমদানির পরই ঈদের ছুটির কারণে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। হিলি স্থলবন্দরসহ দেশের সবগুলো স্থলবন্দর দিয়ে পর্যায়ক্রমে ৫ থেকে ৬ দিন আমদানি রফতানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একারণে ওই সময়ে বন্দর দিয়ে কোন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়নি। ঈদের ছুটি শেষে সোমবার থেকে আবারও বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি শুরু হবে। ওই দিনই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হবে। দেশের বাজারে বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে আইপি পাওয়া বন্দরের আমদানিকারকরা সকলেই কম বেশি কাঁচা মরিচ আমদানি করবেন। এতে করে ওই দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচা মরিচ দেশে আমদানি হতে পারে। যার কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসতে পারে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –