• বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১০ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের নামাজ পড়লেন লাখো মুসল্লি

প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৩  

 
দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানে এবার একসঙ্গে প্রায় দুই লাখ মুসল্লি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ময়দানে দেশের বৃহৎ ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঈদের নামাজ শুরু হয়। শান্তিপূর্ণভাবে বৃহৎ এ জামাতে নামাজ আদায় করতে পেরে খুশি দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিরা। 

মেঘ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল ৭টা থেকে মুসল্লিরা সমবেত হতে শুরু করেন এ ঈদগাহে। ঠিক সাড়ে ৮টায় শুরু হয় নামাজ। ইমামতি করেন মাওলানা শামসুল আলম কাশেমী। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে করা হয় বিশেষ মোনাজাত।

ঐতিহাসিক এই ঈদের জামাতে অংশ নিতে জেলার বাহির ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে একটি ট্রেন ও জেলার পার্বতীপুর উপজেলা হতে আরো একটি ট্রেনের বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। এছাড়াও সদর উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের জেলার মুসল্লিরা এখানে আসেন।

বৃহৎ এই ঈদের জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও ছিলেন তৎপর।

এ সময় নামাজে অংশ নেন ঈদগা মাঠের সমন্বয়ক ও পৃষ্ঠপোষক জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ,  পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ,  দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ।

ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ঈদের জামাতে আসা সবুজ ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করে খুব ভালো লাগল। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে। এর আগে এই মাঠে নামাজ আদায় করার ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে তা হয়ে ওঠেনি। এবার ঈদের নামাজের জন্য বিশেষ ট্রেন ছিল। সেই ট্রেনে এসে নামাজ আদায় করলাম। 

জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ বলেন, ঈদগাহ মাঠে নিরাপত্তার বিষয়ে বরাবরের মতো জোর দেওয়া হয়েছে। ঈদগাহজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেছেন পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা। 

তিনি আরো বলেন, প্রথমবারের মতো মুসল্লিরা ঈদগাহ মাঠে নামাজে অংশগ্রহণের জন্য দুটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ১৯টি প্রবেশপথ দিয়ে সকাল ৭টা থেকে মাঠে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা।

হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় দুই লাখের বেশি মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। কয়েক দিন থেকে টানা বৃষ্টি। আজ সকাল থেকেও আবহাওয়া খারাপ থাকায় এবার কম  মুসল্লি এসেছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –