• বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১০ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিনাজপুরে ছোট ও মাঝারি পশুর চাহিদা বেশি

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৩  

জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। পবিত্র ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু উঠলে বিক্রি তুলনামূলক কম ছিল। হাটে বড় গরু কেনার ক্রেতা কম থাকলেও ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। তবে কোন কোন হাটে পশুর দাম সহনীয় পর্যায় থাকলেও অনেক হাটে দাম বেশি। এক্ষেত্রে বিক্রেতারা বলছেন, পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় দাম একটু বেশি পড়ছে। তাই এবার বেশিরভাগ মানুষই কোরবানি ভাগে দিবে বলে অনেকে জানায়। 

অন্যদিকে ছাগলের চাহিদাও কম নয়। হাটে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কেনাবেচা। অনেকে বিভিন্ন হাটে দাম যাচাই করছেন। তবে ঈদের আগের দিন সবচেয়ে বেশি গরু-ছাগল বিক্রি হবে বলে জানায় ক্রেতা-বিক্রেতারা। 

এদিকে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পশু বিক্রিতে লাভ নিয়ে আশংকায় রয়েছে খামারিরা। পশু পালনে খরচ বাড়লেও ভালো দামের আশায় অর্থ ও শ্রম দুটোই ব্যয় করছেন। তবে গরুর চেয়ে ছাগল পালন বেশি লাভজনক বলে দাবি করেছেন খামারি রাকিব আহমেদসহ অনেকে। রাকিব আহমেদ জানায়, এ বছরের ছাগলের খামারে বিনিয়োগ সব উঠে এসেছে।

ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জ হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা জানায়, এ বছর রানীগঞ্জ কোরবানির হাটে বড় আকারের গরুর তুলনায় মাঝারি আকারের অর্থাৎ ৩ মণ ওজনের গরুর চাহিদা বেশি। এই সাইজের গরুর দাম ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে। বড় আকারের গরু বা ৪ মণ ওজনের গরুর চাহিদা তুলনা মূলকভাবে কম। 
ঘোড়াঘাটের কশিগাড়ী গ্রামের মিন্টু তালুকদার বলেন, তিনি রানীগঞ্জ হাট থেকে ১১ কেজি ওজনের একটি খাসি কিনেছেন ৮ হাজার টাকায়।

অপর খামারি বেলাল জানান, গরুর খাবারের দাম বেশি। বছরে একটি গরু বড় করতে ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এই অবস্থায় প্রতিটি গরু গড়ে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে না পারলে লাভ হবে না।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন জানান, দিনাজপুরে এবার ২ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৮টি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। তবে জেলার চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৫০২টির। দিনাজপুরের ১৩ উপজেলার ছোট-বড় মিলে ৬৬টি হাট বসে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –