• বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১০ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বদরগঞ্জে ডিবি পরিচয়ে অপহরণের পর প্রাণনাশের চেষ্টা, গ্রেফতার ১

প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২৩  

 
রংপুরের বদরগঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক যুবককে তুলে নিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেনহাজুল ইসলাম তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা অপর দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

আসামিরা হলেন- রবিউল ইসলাম রবি (৫০), হুমায়ুন কবির (৩৮) ও পুলিশের কথিত সোর্স মাইক্রোবাস চালক আতিক ওরফে আতিক ড্রাইভার (৩০)। এদের মধ্যে রবিউল ইসলাম রবিকে গ্রেফতার করে রোববার (২৫ জুন) রংপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।

থানায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের মানসিংহপুর মুন্সিপাড়া গ্রামের রফিক উদ্দিনের পুত্র মেনহাজুল ইসলাম। তিনি প্রতিবেশী হুমায়ুন কবিরের কাছে জমি বন্ধক বাবদ চার লাখ টাকা পান। কিন্তু এরমধ্যে মেনহাজুল টাকা ফেরত চাইলে নানা অজুহাত দেখান হুমায়ুন। পাওনা টাকা ফেরতের জন্য মেনহাজুল চাপ দেয় হুমায়ুনকে। এক পর্যায়ে বদরগঞ্জ কৃষি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে মেনহাজুল ইসলামকে ফেরত দেবে বলে বাড়ি থেকে ডেকে আনেন। টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য পুলিশের কথিত সোর্স ও মাইক্রোচালক বদরগঞ্জ পৌরশহরের চাঁদকুঠির ডাঙ্গা এলাকার আতিক ড্রাইভারের পরিকল্পনায় একটি ডিবি পুলিশের ভুয়া টিম সাজান হুমায়ুন। সেই পরিকল্পনায় গত ২২ জুন মেনহাজুল ইসলামকে বদরগঞ্জ মহিলা কলেজের সামনে থেকে আতিকের ব্যবহৃত একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়।

এসময় তারা উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের একটি জায়গায় নিয়ে মেনহাজুলকে মারধর করে প্রাণনাশের চেষ্টা চালান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। মেনহাজুল ইসলামের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ঘটনাস্থল থেকে মাইক্রো নিয়ে ওই প্রতারক চক্রটি পালিয়ে যান। স্থানীয়রা মেনহাজুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় মেনহাজুল প্রতারক চক্রের সদস্য রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে সনাক্ত করেন। গত শনিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বাংলারহাটে রবিউলকে আটক করে পুলিশে খবর দেন তারা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এদিকে পুলিশের কাছে রবিউল স্বীকার করে বলেছেন, টাকা লেনদেনের ঘটনার জেরে ডিবি পুলিশ সেজে মেনহাজুলকে অপহরণ করা হয়। তাদেরকে হুমায়ুন ভাড়া করেন। তার সঙ্গে এজাহারভুক্ত অপর দুই আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুইজন ছিল। তবে তাদেরকে সে চেনন না। মেনহাজুলকে নাজেহাল করার জন্য হুমায়ুন টাকা দেয় বলে তিনি পুলিশকে অবগত করেন।

জানতে চাইলে বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ডিবির পরিচয় দিয়ে ওই চক্রটি মেনহাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। তবে আতিক পুলিশের সোর্স নয় বলে তিনি দাবি করেন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –