ভাসমান কচুরিপানার ওপর দিয়ে হেঁটে নদী পার

 
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার যমুনেশ্বরী নদীর বরাতি সেতু। উজানের ঢলে সঙ্গে ভেসে আসা জলের ওপর জমাট বাঁধা কচুরিপানা ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে লোকজন নদী পারাপার হচ্ছে। কচুরিপানার ওপর শিশু কিশোরেরা ফুটবল খেলছে। তা দেখতে বাড়ছে উৎসুক লোকজনের ভিড়।

বরাতি সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের যমুনেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত পরিত্যক্ত বরাতি সেতুতে হাজারো মানুষের ভিড়।

নদীর পাড়ে তাকাতেই দেখা যায় লোকজন কচুরিপানার ওপর দিয়ে হেঁটে নদী পার হচ্ছে। ফুটবল খেলছে শিশু-কিশোররা। অনেকে মাঝ নদীতে কচুরিপানার ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, ভিডিও করেছে, কেউ কেউ আবার করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ।

জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন দিন আগে উজানের ঢলে ভেসে আসা কচুরিপানা বরাতি সেতুর উত্তরপাশের ২০০ মিটার অংশে নদীর দুই তীরে জমাট বাঁধে। পানির স্রোত নিচ দিয়ে বহমান থাকলেও কচুরিপানাগুলো আর নদীর ওই অংশ থেকে না সরায় গতকাল বুধবার স্থানীয় কিছু শিশু-কিশোর ফুটবল খেলে এবং কচুরিপানার ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে নদী পার হয়। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন তা দেখতে ছুটে আসে।

ইকরচালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তাজ উদ্দিন বলেন, কচুরিপানার ওপর দিয়ে হেঁটে নদীর পার হচ্ছে এমন ঘটনা শুনে আমি নিজেও এখানে এসেছি।

ডাঙ্গীরহাট এলাকা থেকে কচুরিপানার ওপর দিয়ে নদীপার হওয়া দেখতে আসা সবুজ মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ভাই, আমরা ফেসবুকে দেখে তিনটি ভ্যানে ৩০ জন এসেছি। এটা বিরল ঘটনা। এর আগে আমরা ভাসমান কচুরিপানার ওপর দিয়ে হেঁটে নদীপার হতে দেখিনি।

তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, বিষয়টি জানার পর সরেজমিনে গিয়েছি। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে লোকজন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। নদীর ওই এলাকায় কচুরিপানা অপসারণে কাজ চলছে। কোনো ধরনের যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ পাহারা আছে।