৮ বছর ধরে আলাদা স্বামী, নবজাতককে মেরে ড্রেনে ফেলে দেন মা

 
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নবজাতককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে মা কল্পনা রানীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃত কল্পনা রানী বর্মণ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউপির দরবস্ত হিন্দুপাড়া প্রামের দেবেন্দ্র নাথের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, গত বুধবার (২১ জুন) গভীর রাতে সবার অগোচরে নিজ বাড়িতে নবজাতকটির জন্ম দেন কল্পনা রানী। এর কিছুক্ষণ পর শিশুটির নাকে আঙ্গুল দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। পরে ওই নবজাতকের মরদেহ দরবস্ত হিন্দুপাড়া গ্রামের মনোরঞ্জন রায়ের বাঁশ বাগানের ড্রেনের পানিতে ফেলে দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রলয় কুমার বর্মা জানান, ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তকালে জানা যায় দরবস্ত হিন্দুপাড়া গ্রামের দেবেন্দ্র নাথ বর্মন সঙ্গে প্রায় ২২ বছর আগে কল্পনা রানীর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে কনক চন্দ্র বর্মন এবং কনিকা রানী নামে দুটি সন্তান রয়েছে। গত ৮ বছর আগে স্ত্রী কল্পনার আচার-আচরণে সন্দেহ হলে দেবেন্দ্র নাথ বর্মন নিজ বাড়ি ছেড়ে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়া এলাকায় আলাদা বসবাস করে আসছেন। 

এরই মধ্যে গত বুধবার (২১ জুন) গভীর রাতে সবার অগোচরে নিজ বাড়িতে নবজাতকটির জন্ম দেন কল্পনা রানী। এর কিছুক্ষণ পর শিশুটির নাকে আঙ্গুল দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। পরে ওই নবজাতকের মরদেহ দরবস্ত হিন্দুপাড়া গ্রামের মনোরঞ্জন রায়ের বাঁশ বাগানের ড্রেনের পানিতে ফেলে দেন।

ওই গৃহবধূর স্বামী দেবেন্দ্র নাথ জানান, গত বুধবার লোকমুখে ঘটনাটি শুনে বাড়িতে এসে স্ত্রীকে সদ্য সন্তান প্রসব করার মতো লক্ষণ দেখতে পান তিনি। পরে তাকে ওই নবজাতকের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজনের সামনে ওই নবজাতক তার বলে স্বীকার করেন।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মাকে গ্রেফতার করে আদলতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতে নবজাতককে হত্যার দায়ে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।