• বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১০ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কুড়িগ্রামে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির হাট

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৩  

 
আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় জমে ওঠতে শুরু করেছে কোরবানির হাট। এ উপলক্ষে জেলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার পশু। কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে পশুর হাটে বিক্রেতার ভিড় ততই বাড়ছে।

সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পশুরহাট যাত্রাপুর ঘুরে দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্র দুধকুমার ও ধরলা নদীর অববাহিকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পশু নিয়ে হাটে এসেছেন পাইকারী বিক্রেতা, খামারি ও গবাদিপশু পালনকারী প্রান্তিক কৃষকরা। দেশি গরুতে বাজার ভরে গেছে। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত।

এ ছাড়াও ৯০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের গরুর দাম ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। কোরবানির সম্মিলিত ও একক ক্রেতাসহ জেলার বাইরে থেকে বেশ কিছু পাইকার এসেছেন।

একাধিক খামারি ও প্রান্তিক কৃষকরা জানান, গোখাদ্যের দাম তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও কোরবানির পশুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে। এবার মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি। বিজিবির কড়া নজরদারিতে ভারতীয় গরু কম আসায় বেশ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তারা।

স্থানীয় ক্ষুদ্র খামারি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি একটি দেশীয় ষাঁড় লালন-পালন করে এবারের কোরবানির ঈদ বাজার হ্যালিপ্যাডে ৬৭ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। তার ষাঁড়টির প্রায় ১০০ কেজি মাংস হবে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামে পশুর মোট খামারির সংখ্যা রয়েছে ৩২ হাজার ৫৬৪টি। এসব খামারে ষাঁড় আছে ৭৪ হাজার ৪৪৬টি, বলদ আছে ৫ হাজার ৪৯৩টি, গাভী আছে ৩০ হাজার ৩০৭টি এবং মহিষের সংখ্যা ৯১৩টি।

এতে মহিষসহ কুড়িগ্রামে মোট গরু আছে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৯টি। ছাগল রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩২টি এবং ভেড়া ২৩ হাজার ৯৭৬টি। কুড়িগ্রামে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা হচ্ছে ২ লাখ ৭০ হাজার ১৬৭টি। এসব পশু থেকে কুড়িগ্রামে কোরবানির পশুর চাহিদা মিটিয়ে ৬৯ হাজার ৩১৪টি কোরবানিযোগ্য পশু বাড়তি থাকবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –