• বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১০ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

টুংটাং শব্দে মুখরিত রংপুরের কামারপাড়া

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২৩  

ঈদের আর মাত্র ছয় দিন বাকি। ঈদ ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারপাড়ায়। আশপাশে তাকানোর বিন্দুমাত্র সময় নেই। পুরোনো অস্ত্রে শাণ দেওয়া, নতুন লোহা পুড়িয়ে ধারালো দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি বানানোর কর্মযজ্ঞ চলছে পুরোদমে। অস্ত্র তৈরির টুংটাং শব্দে মুখরিত পুরো কামারপাড়া।

রংপুর নগরীর কামারপাড়ার কারিগর বিমল চন্দ্র কর্মকার বলেন, দা-বঁটি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। আকার, আকৃতি ও লোহাভেদে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ছুরি প্রতিটি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা মূল্যেও বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে হাড় কাটার চাপাতি (স্প্রিংয়ের) কেজিপ্রতি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায়, সাধারণ লোহার চাপাতি কেজি প্রতি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গরু জবাইয়ের ছুরি প্রতিটি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। পুরোনো যন্ত্রপাতি শাণ দিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিমল চন্দ্র কর্মকার।

এদিকে নগরীর কামারপাড়ায় গিয়ে কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ ঘিরে তাঁদের ব্যস্ততা বেড়েছে। বিশ্রামেরও সময় নেই। তবে দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতিতে তেমন বেচাকেনা না হওয়ায় অনেকটা হতাশ তাঁরা।

কামারপাড়ার কারিগর মিলন চন্দ্র রায় বলেন, ‘৪২ বছর ধরে এই পেশায় আছি। প্রতিবছরই এ সময় অনেক ব্যস্ত থাকি। দিন যত গড়াবে, ব্যস্ততা তত বাড়বে। প্রতিদিন খুব সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। এমন ব্যস্ততা চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। ঈদের আগের সার রাত কাজ করে ঈদের দিন সকালে গ্রামের বাড়ি যাই।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সারা বছর খুব একটা কাজ থাকে না। কোরবানি এলেই কাজ বেড়ে যায়। তাই এ সময় একটু বাড়তি আয়ের উদ্দেশ্যে দিনরাত পরিশ্রম করি। যত কাজ তত টাকা। ভাত খাওয়ার সময় পাই না। ঈদের তিন দিন আগে থেকে বেশি ব্যস্ততা শুরু হয়।’

পুরোনো অস্ত্র শাণ দিতে এবং নতুন কিনতে আসা আ. রহিম মোল্লা বলেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এই সময়ে অনেক ভিড় থাকে। রংপুর শহরের এই কামারপাড়ায় অনেকগুলো দোকান থাকায় এখানে অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে কাজ করা যায়। তবে লোহার দাম বাড়ায় সব যন্ত্রপাতির দামও বেড়েছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –