• বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১০ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কুড়িগ্রামে বেড়েছে নদ-নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৩  

 
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে নদ-নদী অববাহিকার নিচু চরাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে। জেলার সদর উপজেলার যাত্রাপুর ও উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩ হাজার পরিবার। 

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বড় বন্যা শঙ্কায় রয়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ।

এদিকে চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় নতুন চরগুলোতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে বন্যার পানি। এমনকি অনেক চরাবাসীর ঘরেও ঢুকতে শুরু করেছে পানি। বাড়ির চারিদিকে পানি থাকায় নৌকা ছাড়া কোথাও বের হতে পারছেন না তারা। 

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার পোড়ার চরের বাসিন্দা আমেনা বেগম জানান, পানি যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ঘরে পানি উঠতে সময় লাগবে না। খুবই চিন্তায় আছি। ঘরের চারিদিকে পানি। ঘরে পানি উঠলেই ছোট ছোট ছেলে মেয়ে, গরু, ছাগল নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হবে।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকার আতাউর রহমান জানান, ইউনিয়নের মুসার চর ও বালাডোবার চরে বন্যার পানি কয়েকটি পরিবারের ঘরে প্রবেশ করেছে। 

মুসার চরের বাসিন্দা আব্দুল করিম জানান, পাশের চরে বাড়ি ছিল। সেখানে ভাঙনের শিকার হয়ে এই নতুন জেগে ওঠা মুসার চরে বাড়ি করেছি। কিন্তু বাড়ি-ভিটা উঁচু করতে পারি নাই। এই চরটি নিচু হওয়ায় বন্যার পানি ঘরে প্রবেশ করেছে। আপাতত চৌকির ওপর বউ-বাচ্চা নিয়ে অবস্থান করছি। পানি আরও বাড়লে এখানে থাকার কোনো উপায় থাকবে না।

উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া জানান, এ ইউনিয়নের পুরোটাই চরাঞ্চল। বেশ কয়েকটি চর প্লাবিত হয়েছে। 

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে আমার ইউনিয়নে কয়েকটি চরে দুই হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ সময় চরবাসীর হাতে কোনো কাজ নেই। তারা খুব কষ্টে দিন পার করছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী ২২ ও ২৩ জুন এসব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।  

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, পূর্বাভাস পেয়ে জেলা প্রশাসন থেকে বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চরের মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়তে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনাসহ বিশুদ্ধ পানি ও ত্রাণের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। এ ব্যাপারে কাজ চলছে। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –