• বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১০ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাড়ছে তিস্তার পানি

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২৩  

 
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও কয়েকদিন থেকে টানা থেমে থেমে আসা বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। 
রোববার সকাল ৬টা ও ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে ভাটি এলাকায় বাড়ছে পানির চাপ। প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। 

কয়েকদিনের টানা থেমে থেমে বৃষ্টিতে ও উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে বালুচর এলাকা নিমিষেই পানিতে টইটুম্বুর হয়ে পড়েছে। এতে তিস্তার চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বাদাম, পাট ও মৌসুমী ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে নদী এলাকায় বন্যার আগাম প্রস্তুতি থাকায় ক্ষতির পরিমাণ তেমন হয়নি।

জানা যায়, শনিবার বিকেলে থেকে পানি বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যা ছয়টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহের রেকর্ড করা হয়। সন্ধ্যার পর কিছুটা কমতে শুরু করলে আজ ভোর থেকে আবারো বাড়তে শুরু করে পানির তোড়। ভোর ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে ও সকাল ৯টায় ২৩ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়। ফলে ডালিয়ার ভাটি এলাকায় ধীরে ধীরে পানি প্রবেশ করছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ তিস্তাপাড়ের মানুষ। চর এলাকায় চাষাবাদের জন্য বসবাসরত লোকজন গ্রাম এলাকায় চলে আসছেন। নৌকায় করে চরের ফসল নিয়ে আসছেন উঁচু এলাকায়।

গোবর্ধন এলাকার কৃষক রহিম মিয়া বলেন, কয়দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। কালকেও পানি বাড়ছিলো। আজকে আবারো বাড়তেছে। আমাদের বাদাম ক্ষেত, পাটক্ষেত ডুবে গেছে।

আদিতমারীর ইউএনও গোলাম সারোয়ার বলেন, তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নিচু এলাকায় পানি ঢুকছে। ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে সবশেষ খবর রাখতে বলেছি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে সহায়তা দেওয়া হবে। জরুরি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সজাগ রয়েছি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে তিস্তার বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। মহিষখোচা এলাকায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বেরিবাঁধ করা হয়েছে। এছাড়াও ভাঙন প্রবণ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –