• বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১০ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রংপুরে ভিটামিন এ-ক্যাপসুল পাবে ৫ লাখ শিশু

প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২৩  

 
রংপুরের আট উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৯৫ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে আট উপজেলায় তিন লাখ ৬০ হাজার ২৯৫ জন এবং সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে এক লাখ ২৯ হাজার ৫০০ শিশু ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাবে। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের জন্য সুপারভাইজার, স্বেচ্ছাসেবী, টিকাদান কেন্দ্র নির্ধারণ করাসহ প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।

রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান, আগামী রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্ধারিত টিকা কেন্দ্রসহ হাট-বাজার, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট ও রেলওয়ে স্টেশনের অস্থায়ী এবং ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এদিন ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সের শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

তিনি জানান, রোববার দেশব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন আট উপজেলার ১ হাজার ৮৩১টি কেন্দ্রে ৭৬২ জন সুপারভাইজার ও তিন হাজার ৭৮৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে তিন লাখ ৬০ হাজার ২৯৫ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৫ হাজার ৩৮৮ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী তিন লাখ ৪ হাজার ৯০৭ শিশু এই ক্যাপসুল খাবে। এদের মধ্যে ৯২০ জন প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে।

রংপুর পুরাতন সদর হাসপাতালে সিভিল সার্জনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. রুহুল আমিন ছাড়াও অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) প্যানেল মেয়র তৌহিদুর রহমান জানান, রোববার মহানগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের ২৯৭টি কেন্দ্রে ৪৪ জন সুপারভাইজার ও ৫৯৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক ক্যাম্পেইন কার্যক্রম সফল করতে দায়িত্ব পালন করবেন। ওইদিন ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২০ হাজার শিশুকে নীল রংয়ের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী এক লাখ ৯ হাজার ৫০০ শিশুকে লাল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলে কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ভরা পেটে শিশুকে ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। খালি পেটে খেলে বমির ভাব হতে পারে। এতে বিচলিত না হয়ে অভিভাবকরা শিশুকে কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও বাদ পড়া শিশুদের জন্য অতিরিক্ত ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করবে। যদি কোনো শিশু গত ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তবে সেই শিশুকে আর খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই।

সংবাদ সম্মেলনে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়, প্যানেল মেয়র মাহাবুবার রহমান মঞ্জু, কাউন্সিলর মাহমুদুর রহমান টিটু, কাউন্সিলর লিটন পারভেজ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আব্দুল কাইয়ুমসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –