• বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১০ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি যান্ত্রিকতায় রংপুরে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২৩  

 
রংপুরে কৃষি যান্ত্রিকতায় সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। চলতি বোরো মৌসুমে ৫০০ একর জমি যান্ত্রিকতার আওতায়  এসেছে। সমলয় পদ্ধতিতে চাষ করা হাইব্রিড নতুন এই পদ্ধতিতে চাষ করা ধানের বাম্পার ফলন এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সফলভাবে ফসল উৎপাদনের জন্য সমলয়ে চাষাবাদ পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কৃষি মন্ত্রণালয় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এই অঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থাকে আরো আধুনিকায়ন করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সমলয় পদ্ধতিতে ৮৫ জন কৃষক-কৃষাণির ৫০ একর জমিতে হাইব্রিড ময়না জাতের বোরো ধান চাষ করা হয়। এজন্য প্রথমে ৪৫০০ ট্রে-তে ৩:২ অনুপাতে মাটি ও গোবরের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়। এরপর বীজ ছিটিয়ে পুনরায় অর্ধেক মাটি ও গোবর মিশ্রণ দিয়ে সমতল জায়গায় রেখে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখা হয়। এভাবে বীজতলা তৈরির তিন দিনের মধ্যে অঙ্কুর বের হয়ে যায়। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা উৎপাদন করা হয়।

এরপরে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে চারা রোপণ করা হয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ বীজ বপন, চারা রোপন, ধান কর্তন ও কর্ষণ সবগুলো কাজই করা হয়েছে যান্ত্রিকভাবে। এই সমলয় পদ্ধতিতে ধানচাষে যেমন অর্থের অপচয় কম হয় তেমনি সময় সাশ্রয় হয়। প্রান্তিক কৃষকরা কম খরচে এই পদ্ধতিতে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারবেন। প্রতি হেক্টরে ধানের ফলন (শুকনা ওজন) পাওয়া গেছে ৮ দশমিক ৩০ টন। অর্থাৎ প্রতি বিঘা জমিতে (৩৩ শতক) ধান উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩০ মণ। রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলার প্রতি জেলায় ১০০ একর করে এই পদ্ধতিতে চাষ করা হয়েছে। 

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ৫০০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এই পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আগামীতে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদের আওতা বাড়ানো হবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –