• বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১০ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফের চালু হলো বিশ্বের প্রথম ফাইলেরিয়া হাসপাতাল, স্বস্তিতে রোগীরা

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৩  

নানা সংকটে এক মাস বন্ধ থাকার পর আবারো চালু হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত গোদ রোগের চিকিৎসায় বিশেষায়িত বিশ্বের প্রথম ফাইলেরিয়া হাসপাতাল। সোমবার (১২ জুন) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবাসহ অন্যান্য কার্যক্রম। এক মাস বন্ধ থাকার পর হাসপাতালটি চালু হওয়ায় গোদ রোগী ও স্বজনদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

হাসপাতালটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯ মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, পরিচালনা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বসহ নানা সমস্যায় ধুঁকে ধুঁকে চলার পর গত ৮ মে দুপুরে হাসপাতালটির পুরো কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন হাসপাতালের অস্থায়ী আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মান্না চক্রবর্তী।

হাসপাতালটি এক মাস ধরে বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৭০০ গোদ রোগী। প্রতিদিন চিকিৎসাসেবা নিতে আসা ৮ থেকে ১০ জন রোগী চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন। এরপর দ্রুত হাসপাতালটি চালুর বিষয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাধিকবার আলোচনায় বসেন হাসপাতালটির পরিচালক রাকিবুল ইসলাম তুহিন। আলোচনা সভায় সকল সমস্যা সমাধান করে হাসপাতালটি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এক মাস পর হাসপাতাল চত্বরজুড়ে রোগী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদচারণায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। চেম্বারের চেয়ার-টেবিলে জমে থাকা ধুলাবালি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মামুন হোসাইন বলেন, বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে এসে বন্ধ পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছি। নিয়মিত চিকিৎসা নিতে এই হাসপাতালে আসতে হয়। খবর পেলাম আজ থেকে হাসপাতাল আবার চালু হয়েছে এজন্য এসেছি। হাসপাতালটি আবার চালু হওয়ায় আমরা খুব খুশি হয়েছি।

সোহাগ আজম নামে আরেকজন বলেন, বাবাকে নিয়ে পরপর দুই দিন এসে ঘুরে গেছি। এখানকার কয়েকজন জানিয়েছিল হাসপাতাল নাকি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে গত পরশু এক ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পারলাম আজ থেকে হাসপাতাল আবার চালু হবে। তাই বাবাকে নিয়ে আজকেও এসেছি, ডাক্তার বাবাকে দেখলেন, ব্যবস্থাপত্র দিলেন।

হাসপাতালের অস্থায়ী আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মান্না চক্রবর্তী বলেন, কিছু সমস্যার কারণে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছিল না দেখে গত ৮ মে পরিচালককে চিঠি দিয়ে হাসপাতাল বন্ধ করার সুপারিশ করি। হাসপাতালের পরিচালক সকল সমস্যা সমাধান করে এক মাস বন্ধ রাখার পর হাসপাতালটি চালু করেছেন। হাসপাতাল চালু হওয়ার খবরে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার রোগীরা আসছেন চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

হাসপাতালের পরিচালক রাকিবুল ইসলাম তুহিন বলেন, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে আলোচনা করে চালু করার সিদ্ধান্ত নিই। হাসপাতালের যে সকল সমস্যা ছিল সব সমাধানের পথে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাকি সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –