• বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১০ ১৪৩১

  • || ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন রোধে ৭ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২৩  

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন রোধে সাড়ে ৭ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদ শাসনের সমীক্ষা চলমান রয়েছে। এতে কোদালকাটি ইউনিয়নকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদী ভাঙন রোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ শাসনের সমীক্ষা চলমান রয়েছে। এতে কোদালকাটি ইউনিয়নকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। চর ভগপতিপুরে চরাঞ্চলে ভাঙন প্রতিরোধে অস্থায়ী কার্যক্রমের জন্য প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। আমরা নদী ভাঙন রোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।

সরেজমিন দেখা গেছে, বর্ষার আগেই তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত চর রাজিবপুর উপজেলার সদর, কোদালকাটি এবং মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন। এর মধ্যে প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন কোদালকাটি ইউনিয়নটি। এ অবস্থায় ঐ ইউনিয়নসহ চর উপজেলাকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা ব্রহ্মপুত্র নদসহ প্রায় ১৬টি নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত। এসব নদ-নদী জেলার ৯ উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত। প্রতি বছরেই তার ভাঙন গ্রাসী রূপ ধারণ করে। উজানের পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রাম যেমন বন্যায় প্লাবিত হয় তেমনি বর্ষা আসার আগেই এখানে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়।

চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নটির চার পাশে নদী থাকায় বর্ষার আগেই ভাঙনের কবলে পড়ে। এ ইউনিয়নের চারটি মৌজার মধ্যে একটি মৌজা এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে ভাঙনের কবলে রয়েছে আরো দুটি মৌজা।

গত এক সপ্তাহ থেকে এ ইউনিয়নটিতে ভাঙনের তীব্রতা শুরু হওয়ায় হুমকিতে রয়েছে ইউনিয়নটির সবচেয়ে পুরাতন বিদ্যাপীঠ বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোদালকাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সাদাকাত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়, কোদালকাটি বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন ভূমি অফিসসহ ২০টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

ভুক্তভোগী ছুরমান আলী বলেন, নদীর এই পাড় ভাঙলে আমরা ঐ পাড়ে যাই। আবার ঐ পাড় ভাঙলে এই পাড়ে ঘরবাড়ি করি। এভাবে আমাদের প্রতি বছর বাড়িঘর সরাতে হয়। এ যাবৎ আমরা ১০-১২ বার ভাঙনের কবলে পড়ে জীবন বাঁচার তাগিদে বাড়িঘর সরিয়েছি।

কোদালকাটি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ছক্কু বলেন, প্রতি বছর নদী ভাঙনের ফলে আমার ইউনিয়নের জনসংখ্যা ও মানচিত্র থেকে আয়তন কমে যাচ্ছে। এখানে এক সময় যাদের ১০০ বিঘা জমি ছিল তারা আজ আশ্রয়হীন হয়ে আছে। এখনই ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –