• শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১২ ১৪৩১

  • || ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

হাঁড়িভাঙা আমে বদলে গেছে রংপুরের বহু চাষির ভাগ্য  

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২৩  

 
রংপুরে হাঁড়িভাঙা আম এই এলাকার অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় হাঁড়িভাঙা আম বদলে দিয়েছে এখনকার চাষিদের পূর্বপরিচয়। প্রতি বছর আম চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করে চাষিরা এখন স্বাবলম্বী। ভাগ্য বদলে গেছে হাজার হাজার আমচাষি ও কৃষকের। সুমিষ্ট ও আঁশহীন হাঁড়িভাঙা আমের চাহিদা বাড়ছে দিনের পর দিন। আমের দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় বেড়েছে উৎপাদনের পরিধি।

জেলার মিঠাপুকুর বদরগঞ্জ, রংপুর সদরের ফসলি জমি, বাগানসহ উঁচু-নিচু ও পরিত্যক্ত জমিতে চাষ হচ্ছে হাঁড়িভাঙা আমের চাষ। চলতি বছর ১ হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে হাঁড়িভাঙা আম। দেশের  বিভিন্ন স্থানে আম শেষ হয়ে যাওয়ার পর হাঁড়িভাঙা আম বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসে। আগামী ২০ জুন এই আম আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসবে। বাগানমালিক ও চাষি বলেছেন, এবার আগেভাগেই দেশে ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে ৫০ কোটি টাকার আম পাঠানোর অর্ডার পেয়েছেন। চলতি মৌসুমে ২৫০-৩০০ কোটি টাকার আম বিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ী ও চাষিরা। দেশে একমাত্র রংপুরেই ফলন হয় হাঁড়িভাঙা আমের।

রংপুরের কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জুনের শেষ সপ্তাহে বাজারে মিলবে পরিপক্ব হাঁড়িভাঙা আম। এর আগে বাজারে হাঁড়িভাঙা আম পাওয়া গেলেও তা অপরিপক্ব হবে। হাঁড়িভাঙার প্রকৃত স্বাদ পেতে জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মূলত লাল মাটি ও কাদাযুক্ত এলাকায় হাঁড়িভাঙার উৎপাদন ভালো হয়।জেলার রংপুর সদর, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ ও সদর উপজেলার লাল মাটিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে। বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর, পদাগঞ্জের কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট, সর্দারপাড়া, সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের কাঁটাবাড়ি, মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ, রানীপুকুর ও বলদিপুকুর এলাকার প্রায় সব গ্রামে হাঁড়িভাঙা আমের বাগান রয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে এই আমবাগানগুলো।

মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তেকানি গ্রামের চাষি শাহ্জাহান মিয়া বলেন, কয়েক বছরের মতো এবার হাঁড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বছর কম-বেশি শত কোটি টাকার ওপরে আম বিক্রি হয়। হাঁড়িভাঙা আমের জন্য খ্যাত বদরগঞ্জের শ্যামপুরের পদাগঞ্জ হাটের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন আমচাষিরা। সঠিক সময়ে আম বাজারজাত ও পরিবহন সুবিধা বাড়ানো না পারলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন।

রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন বলেছেন, হাঁড়িভাঙা আমের বাজারজাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, তা মনিটরিং করা হবে। পরিবহনে ব্যবসায়ীদের কোনো হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর  নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হবে। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –